মমতার থেকে রাজনীতির পাঠ নিলেন যুবনেত্রী সায়নী
এদিন তৃণমূল ভবনে এসেছিলেন সদ্য দায়িত্ব পাওয়া রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

সায়নী ঘোষকে (Sayani Ghosh) তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভানেত্রীর দায়িত্ব দিয়েছেন দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। যুব সংগঠনকে শক্তিশালী করতে ময়দানে নেমে পড়েছেন সায়নী। শুক্রবার তৃণমূল ভবনে দলের সাংগঠনিক বৈঠক ছিল। সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় সায়নী ঘোষের। তৃণমূল নেত্রীর কাছ থেকে আশীর্বাদ নেন যুব সভানেত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও একটা সময় যুব সংগঠনের দায়িত্বে ছিলেন। ফলত তৃণমূলের যুব শাখাকে শক্তিশালী করার জন্য সায়নীকে একাধিক পরামর্শ দিয়েছেন নেত্রী।
সংগঠনের সকলকে নিয়ে উন্নয়নকে সামনে রেখে এগিয়ে চলার নিদান দিয়েছেন .তিনি। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ পড়ুয়া এবং চলচ্চিত্র জগৎ সহ নানা পেশার যুব সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করার উপদেশ দিয়েছেন নেত্রী। এরই পাশাপাশি সায়নীকে সতর্ক করে নেত্রীর বার্তা—দলীয় কোনও ব্যক্তির নিজস্ব কার্যকলাপ যাতে তৃণমূলের ভাবমূর্তি নষ্ট না করতে পারে, সে বিষয়ে বিশেষ নজর দিতে হবে। করোনা পরিস্থিতির এই সময়ে মানুষের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন নেত্রী। সায়নী জানিয়েছেন, নেত্রীর দেখানো পথেই উন্নয়নের লক্ষ্যে সকলকে নিয়ে এগিয়ে যাবেন।
এদিন তৃণমূল ভবনে এসেছিলেন সদ্য দায়িত্ব পাওয়া রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাঁর সঙ্গেও দলনেত্রীর কথা হয়। এদিনই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন মুকুল রায় এবং শুভ্রাংশু রায়। মুকুলবাবু বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। তাঁর অভিজ্ঞতাকে দল কাজে লাগাবে বলে জানা গিয়েছে। একইসঙ্গে শুভ্রাংশুকেও দলের সাংগঠনিক বিষয়ে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে খবর। রাজনৈতিক চর্চায় এটাও উঠে এসেছে, শুভ্রাংশু রায়কে উপনির্বাচনে প্রার্থী করা হতে পারে। বীজপুর বিধানসভা কেন্দ্রে এবারে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন শুভ্রাংশু। কিন্তু তিনি জিততে পারেননি। অপরদিকে কৃষ্ণনগর উত্তর আসনে জিতেছেন মুকুল রায়। মুকুলবাবু বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেবেন কি না, সেই চর্চাও শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।