ভারত ধর্মশালা নয় যে সবাইকে উদ্বাস্তু হিসাবে জায়গা দিতে হবে, পর্যবেক্ষণ শীর্ষ আদালতের

২০১৮ সালে ইউএপিএ আইনে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয় নিম্ন আদালত। পরে মাদ্রাজ হাইকোর্ট সাজার মেয়াদ কমিয়ে ৭ বছর করে।

May 20, 2025 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি, ১৭:০০: শ্রীলঙ্কার এক তামিল নাগরিকের আবেদন খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ভারত কোনও ধর্মশালা নয় যে সবাইকে উদ্বাস্তু হিসাবে জায়গা দিতে হবে। শ্রীলঙ্কার জঙ্গি সংগঠন এলটিটিইর সঙ্গে যোগ থাকার সন্দেহে ২০১৫ সালে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ওই তামিল ব্যক্তি। ২০১৮ সালে ইউএপিএ আইনে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয় নিম্ন আদালত। পরে মাদ্রাজ হাইকোর্ট সাজার মেয়াদ কমিয়ে ৭ বছর করে। সাজা শেষের পর তাঁকে দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

এরইমধ্যে স্থায়ীভাবে ভারতে বসবাসের অনুমতি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ের করেন ওই বিদেশি। আবেদনে বলা হয়, বৈধ ভিসা নিয়ে তিনি ভারতে এসেছিলেন। তাঁর স্ত্রী এবং সন্তানরা ভারতে থিতু হয়েছেন। এখন শ্রীলঙ্কায় ফিরলে তাঁর এবং পরিবারের প্রাণসংশয় হতে পারে। ইতিমধ্যেই সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ৩ বছর আটক অবস্থায় রয়েছে তিনি। এখনও শ্রীলঙ্কায় তার প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়াই শুরু করেনি প্রশাসন।

ওই ব্যক্তির আবেদনের শুনানিতে বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রনের বেঞ্চ জানায়, ১৪০ কোটির জনসংখ্যা সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ওই ব্যক্তির আর্জি মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। বিচারপতি দত্ত বলেন, ‘যে আসবে তাকেই কি আপ্যায়ন করতে হবে ভারতকে? এটা কোনও ধর্মশালা নয়, যে ঢালাও শরণার্থী ঠাঁই পাবেন।’

আবেদনকারীর আইনজীবী সংবিধানের ১৯ ও ২১ নম্বর ধারার প্রসঙ্গ তোলেন। কিন্তু বিচারপতি দত্ত সাফ জানান, যাবতীয় আইনি প্রক্রিয়া মেনে ওই ব্যক্তির কারাদণ্ড হয়েছে। ২১ নম্বর ধারা লঙ্ঘনেরও প্রশ্ন নেই। ১৯ নম্বর ধারা কেবল ভারতীয় নাগরিকদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হয়, বিদেশিদের জন্য নয়। তিনি চাইলে অন্য কোনও দেশে আশ্রয়প্রার্থী হতে পারেন। ১৯৫১ সালে রাষ্ট্রসঙ্ঘের শরণার্থী কনভেশনের চুক্তিতে সই করেনি ভারত। ফলে কোনও আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা নেই।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen