জুলাইয়ের মাঝামাঝি স্কুল খোলার ভাবনা কেন্দ্রের

May 26, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে জুলাই মাসের মাঝামাঝি অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের নিয়ে স্কুলগুলিতে পঠনপাঠন শুরু করার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রক। শুরুতে শুধুমাত্র গ্রিন ও অরেঞ্জ জোনের স্কুলগুলি চালু হবে। দুটি শিফটে ৩০ শতাংশ পড়ুয়া নিয়ে পঠনপাঠন চলবে বলে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রক সূত্রে খবর।

অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হলেও প্রথম থেকে সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়ারা যেহেতু বয়সে ছোট এবং তাদের পক্ষে সামাজিক দূরত্ব ও অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অসুবিধাজনক, তাই তারা আপাতত বাড়িতে থেকে অনলাইন এবং অন্য মাধ্যমে পড়াশোনা করবে।

যদিও স্কুল খোলা নিয়ে এখনও কিছু চূড়ান্ত হয়নি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, স্বাস্থ্যমন্ত্রক এবং রাজ্যগুলির সঙ্গে কথা বলে মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রক চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকে দুমাসেরও বেশি সময় ধরে দেশের সমস্ত স্কুল বন্ধ। সিবিএসই, আইসিএসই সহ বিভিন্ন রাজ্য বোর্ডের দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির সমস্ত পরীক্ষা শেষ করা যায়নি। জুলাই মাসে বাকি পরীক্ষাগুলি নেওয়ার দিন ঘোষণা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, করোনা সংকট ও লকডাউন পরবর্তী পরিস্থিতিতে কিভাবে স্কুলগুলিতে পঠনপাঠন শুরু করা যায়, তা ঠিক করার ভার দেওয়া হয়েছিল এনসিইআরটি-র হাতে। কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রকের কাছে তারা যে খসড়া সুপারিশটি পাঠিয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, জুলাইয়ের মাঝামাঝি নাগাদ অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের নিয়ে পঠনপাঠন শুরু করা হোক।

এনসিইআরটির আধিকারিকরা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত প্রাথমিক ও উচ্চপ্রাথমিকের পড়ুয়াদের স্কুলে আসার দরকার নেই।

খসড়া সুপারিশে বলা হয়েছে, স্কুলে কোনও অ্যাসেম্বলি হবে না। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে সবাইকে। ফেস মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের পাশাপাশি সিসিটিভিতে সর্বক্ষণ নজরদারি চালাতে হবে সামাজিক দূরত্ব ঠিকমতো মানা হচ্ছে কিনা। কিভাবে সমস্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল শুরু হবে, তার জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও বিশেষ প্রশিক্ষণের বন্দোবস্ত করা হবে।

সম্প্রতি শিক্ষকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে স্কুল চালুর ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক। তিনি জানিয়েছিলেন, শিক্ষক, শিক্ষিকা এবং পড়ুয়াদের জীবন অমূল্য। তাঁদের কথা মাথায় রেখেই কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen