নতুন জেলা সভাপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ফের প্রকাশ্যে বনগাঁ বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল
জেলার নতুন সাংগঠনিক সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন রামপদ দাস

নতুন জেলা সভাপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ফের প্রকাশ্যে বনগাঁ বিজেপির (Bongaon BJP) কোন্দল৷ জেলার নতুন সাংগঠনিক সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন রামপদ দাস (Rampada Das)৷ বুধবার তাঁকে সংবর্ধনা দেন দলের কর্মী-সমর্থকরা৷ সেই অনুষ্ঠানে গরহাজির ছিলেন জেলার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ (BJP MLAs Whatsapp Group) থেকে বেরিয়ে যাওয়া একাধিক বিধায়ক৷ গরহাজির ছিলেন সদ্য প্রাক্তন জেলা সাংগঠনিক সভাপতি মনস্পতি দেবও৷ শুধু কল্যাণীর বিধায়ক অম্বিকা রায় এসেছিলেন৷ বিধায়কদের অনুপস্থিতির কারণ তিনিই কি না তা প্রশ্ন করায় রামপদ রায়ের বক্তব্য, ‘কিছু মান-অভিমান হয়েছে৷ সব মিটে যাবে৷ মতুয়ারা বিজেপির সঙ্গেই আছে৷’ নতুন জেলা সভাপতি মুখে যতই বলুন না কেন, একাধিক বিধায়কের অনুপস্থিতি বুঝিয়ে দেয়, রামপদ রায়কে নিয়ে তাঁদের ক্ষোভ এখনও মেটেনি৷
এতদিন বনগাঁ বিজেপির সাংগঠনিক জেলা সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন মনস্পতি দেব৷ তাঁরই উত্তরসূরি হন রামপদ৷ নতুন জেলা সভাপতিকে ঘিরেই অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে মতুয়াদের ভোটে জিতে আসা বিধায়কদের মধ্যে৷ তাঁদের অভিযোগ, জেলা কমিটিতে মতুয়া প্রতিনিধিদের গুরুত্ব দেওয়া হয়নি৷ এরপরই বিজেপির অন্দরে শুরু হয় ‘মতুয়া বিদ্রোহ’৷ জেলার অফিসিয়াল হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে যান বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া, গাইঘাটার সুব্রত ঠাকুর, হরিণঘাটা অসীম সরকার এবং কল্যাণী অম্বিকা রায়৷
দলের এমন এলোমেলো দশার মধ্যে জেলার সাংগঠনিক সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন রামপদ৷ তাঁর সামনে চ্যালেঞ্জ মূলত দুটি৷ প্রথমত, বিধায়কদের ক্ষোভ দূর করা৷ দ্বিতীয়ত, জেলায় বিজেপির সংগঠনকে চাঙ্গা করা৷ রামপদ দাস বলেন, ‘মনস্পতি দেব না এলেও তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে৷ বনগাঁয় সংগঠনকে মজবুত করাই আমার প্রধান কাজ৷ হরিণঘাটা এবং বনগাঁ উত্তরের বিধায়কের সঙ্গেও যোগাযোগ হয়েছে৷ তাঁরা ব্যস্ত ছিলেন বলে আসতে পারেননি৷’