লাগাতার ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়া ধ্বংসস্তূপ, মৃত কমপক্ষে ৪০০০

গতকাল ভোররাতে স্থানীয় সময় ভোর ৪টে ১৭ মিনিটে প্রথম কম্পনটি অনুভূত হয়।

February 7, 2023 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মঙ্গলবার ভোর ৪টে নাগাদ আবার কেঁপে ওঠে তুরস্ক এবং সিরিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। রিখটার স্কেলে সেই কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮। আগের তিনবারের ভূমিকম্পের রেশ কাটতে না কাটতেই নতুন করে আবার ভূমিকম্প। এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল মাটি থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার গভীরে।

সোমবারের ভূমিকম্পের জেরে সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪০০০ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।সোমবার ভোররাত থেকে একের পর এক ভূমিকম্পে কাঁপছে তুরস্ক ও সিরিয়া। রীতিমতো মৃত্যু মিছিল, সময় যত এগোচ্ছে মৃতের সংখ্যা তত বাড়ছে। একের পর এক বহুতল, বাড়ি-ঘর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ার দৃশ্য সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল। সোমবার ভোর রাতের ঘটনা হওয়ায় বহু মানুষ ঘুমের মধ্যেই ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন। বলাবাহুল্য, মৃতের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। আহতের সংখ্যা অসংখ্য। ইতিমধ্যে তুরস্ক সাতদিনের জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে।

সোমবার ভোররাতে স্থানীয় সময় ভোর ৪টে ১৭ মিনিটে প্রথম কম্পনটি অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে তীব্রতা ছিল ৭.৮। ফের দুপুর ১টা ২৪ মিনিটে জোরালো কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৭.৫। ক্রমেই বাড়তে থাকে ধ্বংসের ছবিটা, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ে। ফের সন্ধ্যার দিকে আরেকটি শক্তিশালী ভূকম্প হয়। যার তীব্রতা ছিল ৬ মাত্রার। কম্পনের তীব্রতা এতটাই ভয়ঙ্কর ছিল, যে ইরাক, লেবানন সাইপ্রাস এমনকি গ্রিনল্যান্ডেও তা অনুভূত হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দুটি টেকটনিক প্লেট সমান্তরালভাবে দু-দিকে সরে যাওয়ায় এই বিপর্যয় হয়েছে।

তুরস্ক ও সিরিয়া এখন কার্যত ধ্বংসস্তূপ। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এখনও অসংখ্য মানুষের চাপা পড়ে রয়েছেন। মৃত্যুর সংখ্যা কোথায় গিয়ে থামবে, তা নিয়ে শঙ্কিত দুই দেশই। জানা গিয়েছে, তুরস্কের গাজিয়ান্তেপ শহরের কাছে, ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৭.৯ কিলোমিটার গভীরে ছিল প্রথম ভূমিকম্পের উৎসস্থল। দ্বিতীয় ভূ-কম্পনের উৎস ছিল একিনোজু শহরের ৪ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে। প্রথম ভূমিকম্পের পর তুরস্কের এএফএডি জরুরি পরিষেবা কেন্দ্র জানায়, অন্তত ৫০টি আফটারশক অনুভূত হয়েছে। আফটারশকের রেশ কাটার আগেই দ্বিতীয় ভূমিকম্প অনুভূত হয়। তুরস্কের বহু এলাকার রাস্তা এখনও বরফে ঢাকা। উদ্ধার কাজ চালানোই প্রশাসনের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen