যৌনশিক্ষা কি পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিৎ?

ছোটবেলা থেকে নিজের ও পরিপূরক লিঙ্গের চাহিদা ও অধিকারের ন্যায্যতা যদি পৌঁছতে পারে মানুষের কাছে, তাহলে যৌন হিংসার প্রবণতা অনেকটাই কমতে পারে।

June 28, 2020 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

একটা শিশু তার শরীর চিনতে শুরু করে বয়ঃসন্ধির অনেক আগে থেকেই। পরিপূরক লিঙ্গের প্রতি আগ্রহ ও কৌতূহলও পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে।   কম্পিউটার সোশ্যাল মিডিয়া এবং তৎসহ ডিজিটাল যৌনতার দুনিয়ার দরজাও খোলা। আর তারপর স্মার্টফোন এবং ভিডিও চ্যাটে যৌন যোগাযোগ ও তার রেকর্ডিং শুরু হতেও খুব সময় লাগে না বেশি। 

অথচ, ঠিক কোন ধরণের যৌন হিংসার শিকার সে হয়ে যেতে পারে যে কোনো দিন, সে বিষয়ে কোন সচেতনতা থাকেনা, থাকার পথও নেই। এই কারণেই শিশুদের যৌন হেনস্থার হার বাড়ছে। 

যৌন উত্তেজনা  জৈবিক ও প্রাকৃতিক। একদিকে বড়রা যৌন বিষয়কে ট্যাবুতে মুড়ে দূরত্বে সরিয়ে রাখতে চাইছেন। আর ছোটরা জেগে উঠতে থাকা শরীরবোধ আর যৌন বোধের মাঝখানে নিতান্ত অসহায় হয়ে পড়ছে। যৌনতা সমাজবিরোধী,  অনৈতিক, অশুভ—এমন একটা ধারণা সকলের মধ্যে রয়ে গেছে। আর তার মাঝখানেই চলছে লিঙ্গ বৈসাম্য ও যৌন হিংসার বাড়বাড়ন্ত। 

ছোটবেলা থেকে নিজের ও পরিপূরক লিঙ্গের চাহিদা ও অধিকারের ন্যায্যতা যদি পৌঁছতে পারে মানুষের কাছে, তাহলে যৌন হিংসার প্রবণতা অনেকটাই কমতে পারে। তার জন্যে ভীষণভাবে এই বিষয়টির পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্তিকরণ।  

যৌনশিক্ষা কি পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিৎ?

যৌন সচেতনতা ও অধিকারের অসাম্যের যে বীজ শৈশব থেকে ছেলেমেয়েদের মধ্যে রোপণ করা হয় অসচেতনভাবে, বয়স বাড়ার সাথে সাথে তার ফল প্রকাশ পেতে শুরু করে। 

বিশেষজ্ঞদের মতে খুব কম বয়স থেকেই পাঠ্যসুচীতে যৌন শিক্ষা আবশ্যক হওয়া উচিৎ। পাঠ্যক্রম কেমন হবে বা কোন বয়সীদের পাঠক্রমে তা অন্তর্ভুক্ত হবে তার জন্যে মনোবিদদের সাহায্য নেওয়া জরুরি।  

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen