এবার জলপাইগুড়ির শুভ্রার নাম ইন্টারন্যাশনাল বুক অব রেকর্ডসে

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের জলপাইগুড়ি সদর ব্লক কমিটির তরফে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

July 29, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

ছোট বেলার শখই শিল্পী হিসেবে স্বীকৃতি এনে দিল এক কলেজ পড়ুয়াকে। মাত্র এক মিনিটে ৭ মিলি মিটার ছোলার ডালের অর্ধেক অংশের ওপর সাধারণ বল পেন দিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিকৃতি অঙ্কন করে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড ও ইন্টারন্যাশনাল বুক অব রেকর্ডসে নাম তুললেন জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের ঘুঘুডাঙ্গার বাসিন্দা শুভ্রা মন্ডল। শিল্পকলা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে প্রশংসিত হওয়ায় খুশির হাওয়া এলাকায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের জলপাইগুড়ি সদর ব্লক কমিটির তরফে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের খারিজা বেরুবাড়ি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘুঘুডাঙ্গা বাজার সংলগ্ন এলাকায় শুভ্রার বাড়ি। বাবা ভজন মন্ডল একটি ছোট দোকান চালান। মা শিখা মন্ডল গৃহবধূ। এক বোন পায়েল মণ্ডল একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। শুভ্রা মন্ডল জলপাইগুড়ি পিডি উমেন্স কলেজের ইংরেজি অনার্সের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী।

শুভ্রা জানায়, ছোট থেকেই ছবি আঁকার ওপর বিশেষ ঝোঁক ছিল। কিন্তু পড়াশোনার চাপে আঁকার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। দুই বছর ধরে নতুন কিছু করার নেশায় নিপুণ হাতে পাতা কেটে বিভিন্ন মনীষীর প্রতিকৃতি তৈরি ও বিভিন্ন বীজের উপর নানান মনীষীদের ছবি আঁকা শুরু করে সে। প্রতিকৃতি ছাড়াও ছোলার ডালের উপর দেশের ও রাজ্যের মানচিত্র, কাজী নজরুল ইসলাম, জগন্নাথ, সুভদ্রা, বলরাম, ফুটবল খেলোয়াড় মেসি, সহ ৫০ টি শিল্প সৃষ্টি করেন। সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভিন্ন রেকর্ডের ওপর নজর রাখতো। শুভ্রা গত এপ্রিল মাসে তাঁর শিল্প কলার কথা জানিয়ে ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে মেল করেন। তারপর ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসের তরফে তার শিল্পকলা তৈরির ভিডিও চেয়ে পাঠায়। তা পাঠিয়ে দেওয়ার পর জুন মাসে তার নাম ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে নথিভুক্ত করা হয়েছে। এরপর আন্তর্জাতিক মঞ্চে নাম নথিভুক্ত করার জন্য শুভ্রা গত ১২ জুলাই ইন্টারন্যাশনাল বুক অব রেকর্ড এর কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। অনুরূপ ভাবে তাঁর শিল্পকলা তৈরি করার পাঠাতেই গত ১৫ জুলাই ইন্টারন্যাশনাল বুক অব রেকর্ডসের তরফে তাকে মেল মারফত জানানো হয় তার নাম ইন্টারন্যাশনাল বুক অব রেকর্ডসে নথিভুক্ত করা হয়েছে।

শুভ্রা জানান,নিপুণ হাতে সূক্ষ্ম কাজের জন্য এই স্বীকৃতি মেলে। বর্তমানে ওই দুই সংস্থার ওয়েব সাইটে তাঁর মুখের ছবি সহ শিল্পকলা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। ভবিষ্যতে আরও ভালো ব্যতিক্রমী শিল্পকলা সৃষ্টি করা এবং গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম নথিভুক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই ওই দুই সংস্থার তরফে শংসাপত্র ও উপহার ডাকযোগে পাঠানো হয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen