শিবচতুর্দশী উপলক্ষ্যে উৎসব শুরু নবদ্বীপের বাবলারীতে শ্রীশ্রী সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরে

পাঁচদিনব্যাপী লোকগীতি, ভক্তিমূলক গান, ভাগবতপাঠ, লীলাকীর্তন, অষ্টপ্রহর নামযজ্ঞ হবে। উৎসবের শেষদিনে হরিনাম সংকীর্তন-সহ পরিক্রমা হবে।

February 25, 2025 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: নবদ্বীপেরবাবলারীতে শ্রীশ্রী সিদ্ধেশ্বরী মায়ের মন্দিরে চলছে ৩৯তম বাৎসরিক উৎসব। প্রতিবছরের মতো শিবচতুর্দশী উপলক্ষ্যে শুরু হয়েছে উৎসব। রবিবার ভাগবতপাঠ, লোকগীতি ও ভক্তিমূলক গানের মধ্য দিয়ে বাৎসরিক উৎসবের সূচনা হল। আজ, সোমবার সকাল থেকে মন্দির প্রাঙ্গণে শিব পুজো, সিদ্ধেশ্বরীর পুজো, রাধামাধব পুজো, গৌরাঙ্গদেব ও তুলসী মাতার পুজো হবে। ২৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার পর্যন্ত চলবে উৎসব। মন্দিরটি হেরিটেজ তালিকাভুক্ত হয়েছে।

পাঁচদিনব্যাপী লোকগীতি, ভক্তিমূলক গান, ভাগবতপাঠ, লীলাকীর্তন, অষ্টপ্রহর নামযজ্ঞ হবে। উৎসবের শেষদিনে হরিনাম সংকীর্তন-সহ পরিক্রমা হবে। ২৮ ফেব্রুয়ারি উৎসবের শেষদিন সকালে কুঞ্জ ভঙ্গ হবে। সংকীর্তন-সহ কয়েকশো ভক্ত ও পুণ্যার্থী পরিক্রমায় বের হবেন। দুপুরে শ্রীশ্রী সিদ্ধেশ্বরী মাতার পুজো হবে, ভোগ-আরতির পর ভক্তদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হবে।

এই মন্দির গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর স্মৃতিবিজড়িত। প্রায় ৫৫০বছর ধরে এখানে ব্রহ্মশিলায় দেবী বিরাজমান। রয়েছে পঞ্চমুণ্ডির আসন। আগে এখানে সিদ্ধেশ্বরী মাতার কোনও মূর্তি ছিল না। ব্রহ্মশিলা ও ঘট স্থাপনের মাধ্যমেই পুজো হত। শোনা যায়, এই গ্রামে গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর প্রথম স্ত্রী লক্ষ্মীপ্রিয়াদেবী জন্মগ্রহণ করেন। বহুদিন ধরে ব্রহ্মশিলায় পুজো হয়ে এলেও এখন সাধারণ মানুষের আর্থিক সহযোগিতায় দেবীমূর্তি তৈরি হয়েছে। দেবীকে প্রতিদিন পাঁচবার ভোগ নিবেদন করা হয়। পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষভাগে ভাগীরথীর তীরে এক তান্ত্রিক দেবী সিদ্ধেশ্বরীকে প্রতিষ্ঠা করেন। বাবলারীর নদীর ধারে নির্জন স্থানে দক্ষিণাকালীর মূর্তি স্থাপন করে তান্ত্রিক সাধনা করে সিদ্ধিলাভ করেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen