প্রবল বর্ষণ ও ধসে বিপর্যস্ত সিকিম, ফুঁসছে তিস্তা, বন্দি ১৫০০ পর্যটক
পর্যটকদের উত্তর সিকিমে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। থেং, চুংথাং, টুং চেকপোস্ট সহ একাধিক জায়গায় ধস নেমে বন্ধ হয়ে গিয়েছে রাস্তা।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ৯:১৫: ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে তিস্তা, প্রবল বর্ষণ ও ধসের জেরে বিপর্যস্ত সিকিম। বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে উত্তর সিকিমে। সিকিমের একাধিক জায়গায় হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। মঙ্গন জেলার দুই জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র লাচেন ও লাচুংয়ে প্রায় ১৫০০ পর্যটক আটকে পড়েছেন। অবিরাম বৃষ্টি ও তিস্তা উত্তাল হয়ে ওঠায় উত্তর সিকিমের মুন্সিথাংয়ে নিখোঁজ পর্যটকদের উদ্ধারকাজ ব্যাহত হয়েছে। শনিবার রাত পর্যন্ত নিখোঁজ ৮ পর্যটকের হদিশ মেলেনি। জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, লাচুংয়ে ১৩৫০ জন এবং লাচেনে ১১৫ জন পর্যটক আটকে পড়েছেন। আটকে পড়া পর্যটকদের মধ্যে সিংহভাগই বাংলার বাসিন্দা।
চুংথাং, থেং, টুং নাগা, সিংথাম, দিকচু সহ বাংলা-সিকিম সীমানা রংপোতে নদীপাড়ের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিস্তার পাড়ে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। চলছে মাইকিং। তিস্তার এহেন রুদ্র মূর্তি উত্তরবঙ্গে সমতলের বাসিন্দাদেরও আতঙ্কিত করেছে। ভুটান পাহাড়ে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। জোড়া ফলায় বাংলাতেও বিপদের সম্ভাবনা রয়েছে। ডুয়ার্সের নদীগুলিতেও জল বাড়ছে। বীরপাড়ায় এশিয়ান হাইওয়ের অ্যাপ্রোচ রোড ধসে গিয়েছে। বাংরি নদীতে হড়পা বানের জেরে ভেঙেছে মাদারিহাট-টোটোপাড়া রাজ্য সড়ক, বন্ধ যান চলাচল। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসনের তরফে প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
পর্যটকদের উত্তর সিকিমে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। থেং, চুংথাং, টুং চেকপোস্ট সহ একাধিক জায়গায় ধস নেমে বন্ধ হয়ে গিয়েছে রাস্তা। লেগশিপ-কিউজিং রোডে নামচির সাত মাইলে ধস নেমে বন্ধ হয়ে গিয়েছে রাস্তা। প্রচুর সম্পত্তির ক্ষতি হয়েছে। শনিবার দুপুরে সিংথাম বাজারের কাছে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র লাগোয়া এলাকায় ধস নামে। বিপর্যয়ের জেরে উত্তর সিকিমের বহু জায়গায় বিদ্যুৎ ও মোবাইল পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে।