SIR in Bengal: বিভ্রান্তি নিয়েই কাজ শুরু BLO-দের, প্রথমদিনে বিলি ত্রিশ লক্ষ ফর্ম

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১১:১৬: এনিউমারেশন ফর্ম বিলি শুরু হল বাংলায়। জানা যাচ্ছে, প্রথম দিনে ত্রিশ লক্ষ ফর্ম বিলি হয়েছে। প্রথম দিনজুড়ে নানান বিভ্রান্তি চলল। BLO-দের পরিচয়পত্র ঘিরে সংশয় তৈরি হয়েছে একাধিক জায়গায়। তবে আম জনতার মনে জাঁকিয়ে বসেছে আতঙ্ক। মঙ্গলবারেও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে SIR আতঙ্কে।
প্রথম দিন রাজ্যের দিকে দিকে নানাবিধ প্রশ্ন এবং বিভ্রান্তি। আম জনতার প্রশ্ন, ‘বিএলও কবে আমার বাড়ি যাবে? তখন যদি বাড়িতে না-থাকি, তাহলে কী হবে?’, ‘ঠিকানা বদলেছে, কিন্তু ভোটার কার্ড আপডেট করা হয়নি। পুরোনো ঠিকানায় বিএলও গিয়ে ফিরে এলে কী হবে?’ শুরুটা রীতিমতো ধীর গতিতে হওয়ায় উৎকণ্ঠা বাড়ে। সূত্রের খবর, প্রথম দিনের শেষে বাংলায় ৩০ লক্ষ এনিউমারেশন ফর্ম বিলি করল কমিশন।
অন্যদিকে প্রথম দিন ছিল ঘটনা বহুল। কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে, আলিপুরদুয়ারের বেশ কিছু জায়গায় বিএলওরা রাত পর্যন্ত কিট পাননি বলে দাবি। আবার দুর্গাপুরে কয়েকটি এলাকার বিএলওরা জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা কাজ করবেন না। তাঁরা জানান, এখনও অর্ডার পাননি। দীর্ঘ টানাপোড়েন চলছেই। গাইঘাটার একটি স্কুলের তিনজন শিক্ষককেই বিএলও হিসেবে নিযুক্ত করেছে কমিশন। ক্ষোভে মঙ্গলবার তিন শিক্ষককেই দু’ঘণ্টার বেশি অফিসঘরে তালাবন্ধ করে রেখে দেন অভিভাবকরা। এদিনই অন্য স্কুল থেকে একজন শিক্ষককে ডেপুটেশনে পাঠানো হয়েছিল সেখানে। তাঁকেও আটক করা হয়। গাইঘাটার জয়েন্ট বিডিও ও পুলিশ এসে তাঁদের উদ্ধার করেন। দক্ষিণ হাওড়া বিধানসভার ২৪ নম্বর বুথের বিএলও পরিচয়পত্র দেখাতে না-পারায় উনসানি গরপা এলাকার বাসিন্দারা তাঁকে আটকে দেন।
৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ফর্ম বিতরণ ও জমা নেওয়ার সময়সীমা থাকলেও, রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর সাতদিনের মধ্যে ফর্ম বিলির কাজ শেষ করতে হবে বলে টার্গেট বেঁধে দিয়েছে।
জনতার আতঙ্ক কাটছে না! সাধারণ ভোটার ছাড়াও বিএলওরাও ধন্দে। তাঁরা অন ডিউটি পাবেন কিনা, তা ঘিরে ধন্দের সঙ্গে বাড়ছে ক্ষোভ। অন্যদিকে, আজ উত্তরবঙ্গে যাবে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দল। সিইও মনোজ আগরওয়ালও যোগ দেবেন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে।