SIR in Bengal: যাচাই ও শুনানি পর্বে ওয়েবকাস্টিং ও ভিডিও রেকর্ডিং
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৩:৪৬: ইনিউমারেশন ফর্ম পূরণের বর্ধিত মেয়াদ শেষ হচ্ছে বৃহস্পতিবার। ইনিউমারেশন পর্বের পর ১৬ ডিসেম্বর প্রকাশিত হবে খসড়া তালিকা। তারপর শুরু হবে শুনানি পর্ব। ইতিমধ্যেই কমিশন পরবর্তী পর্বের প্রস্তুতি আরম্ভ করে দিয়েছে। খসড়া ভোটার তালিকা স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে ব্লক অফিস এবং DEO অফিসে টাঙানো থাকবে। ওই দিন থেকে শুরু হবে যাচাই ও শুনানি পর্ব।
পুরো যাচাই এবং শুনানি পর্বের ওয়েবকাস্টিং ও ভিডিও রেকর্ডিং করতে হবে। যতদিন না পর্যন্ত চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত এই ভিডিও সংরক্ষণ করে রাখতে হবে।
কমিশনের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যাচাই ও শুনানি পর্ব কেবল জেলাশাসকের দপ্তরেই করতে হবে। অন্য কোনও সরকারি বা বেসরকারি অফিসে শুনানি করা যাবে না।
উল্লেখ্য, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কমিশনের কাছে চিঠি দিয়ে দাবি জানিয়েছিলেন, শুনানি পর্ব যেন সিসিটিভি-র নজরদারিতে হয়। সম্পূর্ণ শুনানি পর্ব মাইক্রো অবজার্ভারদের উপস্থিতিতে করার দাবিও জানান তিনি। সিসিটিভি নজরদারি কমিশন মেনে নিলেও মাইক্রো অবজার্ভার নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে কমিশন কিছু জানায়নি। এর আগেও বুথ এজেন্ট নিয়োগ নিয়ে বিজেপির দাবি মেনে নিয়েছিল কমিশন। যা নিয়ে কমিশন ও বিজেপি আঁতাতের অভিযোগ উঠেছিল।
কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, আনম্যাপড ভোটারের সংখ্যা ২৯ লক্ষ। এই ২৯ লক্ষ ভোটারকে শুনানিতে হাজির হতে হবে। খসড়া তালিকা প্রকাশের পর আনম্যাপ হওয়া ভোটারদের শুনানির জন্য নোটিশ পাঠাতে শুরু করবেন ERO-রা। চিঠি পাওয়ার পর নির্ধারিত দিনে ERO অফিসে হাজির হয়ে কমিশন নির্ধারিত ১১টি নথির মধ্যে একটি পেশ করতে হবে তাঁদের। যাঁরা নথি দাখিল করতে পারবেন না, তাঁদের নাম চূড়ান্ত ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাবে। বহু ভোটার রয়েছেন, যাঁদের নাম ২০০২ সালের তালিকার সঙ্গে ম্যাপিং ও ম্যাচিং হয়ে গেলেও সন্দেহজনক হিসেবে চিহ্নিত করেছে কমিশন। তাঁদেরও শুনানির জন্য ডাকা হতে পারে। কমিশনের প্রশ্নের জবাব দেওয়ার পাশাপাশি ফর্মে থাকা তথ্যের পক্ষে প্রমাণ দাখিল করতে হবে ভোটারদের। উল্লেখ্য, SIR-এ কেউ জাল নথি পেশ করলে করলে আইন মেনে সাজা হবে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার (BNS) ৩৩৭ ধারা অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সর্বোচ্চ সাত বছর পর্যন্ত জেল এবং জরিমানা হতে পারে।