SIR বিতর্কে উত্তাল রাজনীতি, কমিশন ঘেরাওয়ের পথে ‘INDIA’ জোট, মমতার ব্লুপ্রিন্টেই একমত বিরোধীরা
‘INDIA’ জোটের তরফে জানানো হয়েছে, এই আন্দোলন এখন আর শুধুমাত্র একটি তালিকার প্রতিবাদ নয়, গণতন্ত্র রক্ষার লড়াইয়ের প্রতীক।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ৯:৩৬: বিহারে ভোটার তালিকা সংশোধনের বিশেষ প্রক্রিয়া (SIR) নিয়ে জোরদার বিরোধিতা শুরু করল বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’। আজ, ১ আগস্ট, প্রকাশ পাচ্ছে এসআইআরের খসড়া তালিকা। এই তালিকা প্রকাশের আগেই তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্কের ঝড়। বিরোধীদের অভিযোগ, বহু নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে ইচ্ছাকৃতভাবে। যদিও নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, এটি শুধুমাত্র একটি খসড়া তালিকা, চূড়ান্ত নয়।
কমিশনের দাবি, এই তালিকার ডিজিটাল ও কাগুজে কপি সব রাজনৈতিক দলকে দেওয়া হবে। কোনও নাম বাদ পড়লে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা দল ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তা অন্তর্ভুক্ত করার আবেদন করতে পারবেন। তাতে সায় নেই বিরোধীদের। তাঁদের বক্তব্য, এই তালিকা নিয়ে কেন্দ্রের ভূমিকাই সন্দেহজনক।
এই আবহেই বৃহস্পতিবার সকালেই সংসদ ভবনে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়্গের কক্ষে বসে স্ট্র্যাটেজি মিটিং করেন বিরোধী নেতারা। উপস্থিত ছিলেন রাহুল গান্ধী, ডেরেক ও’ব্রায়েন, রামগোপাল যাদব, সুপ্রিয়া সুলে, জয়রাম রমেশ-সহ একাধিক নেতা।
বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, বৈঠকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া প্রস্তাবই গ্রহণ করে ‘ইন্ডিয়া’ জোট। মমতার মতে, শুধুমাত্র সংসদের ভেতরে প্রতিবাদ নয়, আন্দোলন নিয়ে যেতে হবে রাস্তায়ও। সেই প্রস্তাবকেই সমর্থন জানান ডেরেক ও’ব্রায়েন। তিনি পরামর্শ দেন, সরাসরি নির্বাচন কমিশনের সদর দপ্তর (অশোক রোড) ঘেরাও করা হোক।
জানা গিয়েছে, এই কর্মসূচির জন্য আগামী সপ্তাহের বুধবার বা বৃহস্পতিবার দিন নির্ধারিত হতে পারে। তার আগেই দেশের নানা প্রান্তের রাজনৈতিক দলগুলি সমন্বয় রেখে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।
এই ইস্যুকে সামনে রেখেই বিরোধীরা ঠিক করেছে, যতদিন চলবে সংসদের অধিবেশন, ততদিন প্রতিদিন বিক্ষোভ চালিয়ে যাবে তারা। বৃহস্পতিবার লোকসভায় কাকলি ঘোষ দস্তিদার মুলতুবি প্রস্তাবের মাধ্যমে আলোচনার দাবি জানান। যদিও তা গৃহীত হয়নি, তবে দিনভর লোকসভা ও রাজ্যসভায় ওয়েল অব দ্য হাউসে বিরোধীদের বিক্ষোভ থামেনি।
এছাড়াও, আজ থেকেই দেশের সমস্ত আঞ্চলিক ভাষায় প্ল্যাকার্ড লেখা শুরু হবে, বিক্ষোভকে আরও প্রাসঙ্গিক করে তুলতে। ‘INDIA’ জোটের তরফে জানানো হয়েছে, এই আন্দোলন এখন আর শুধুমাত্র একটি তালিকার প্রতিবাদ নয়, গণতন্ত্র রক্ষার লড়াইয়ের প্রতীক।