SIR: নাগরিকত্বের প্রতিশ্রুতি ‘ঝোলানো গাজর’! আজ মহা বিক্ষোভ মতুয়াদের
Authored By:

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১০:১৫: গত ১৬ ডিসেম্বর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পরে দেখা গিয়েছে রাজ্যের মতুয়া বলয়ে ‘আনম্যাপড’ অর্থাৎ, ২০০২–এর ভোটার লিস্টের সঙ্গে লিঙ্কেজ দেখাতে না–পারা ভোটারের সংখ্যা সব থেকে বেশি। উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা বিধানসভায় ‘আনম্যাপড’ ভোটারের সংখ্যা ১৪ শতাংশের বেশি। হাবড়ায় ১৩, বাগদাতে ১২, অশোকনগর, বনগাঁ উত্তর, রানাঘাট উত্তর–পূর্ব, কল্যাণী প্রভৃতি বিধানসভায় এই হার ১১ শতাংশের েবশি। ৭ থেকে ১০ শতাংশ আনম্যাপড ভোটার রয়েছেন কৃষ্ণগঞ্জ, রানাঘাট উত্তর–পশ্চিম, চাকদহ, শান্তিপুর, কৃষ্ণনগর উত্তর, হরিণঘাটার মতো বিধানসভায়।
এসআইআর পর্বে একদিকে যেমন ভোটার তালিকা থেকে লক্ষ লক্ষ নাম বাদ যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল, তেমনি নাগরিকত্বের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ‘ঝোলানো গাজর’ও এখন অধরা! এই আবর্তে সোমবার বনগাঁর বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের ‘স্বীকারোক্তি’—‘ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ গেলেও, আমাদের সহ্য করে নিতে হবে’। এতেই মতুয়াদের ক্ষোভের আগুনে ঘৃতাহুতি পড়েছে। গত কয়েক বছর ধরে ভারতীয় নাগরিক ও ভোটার হওয়ার স্বপ্ন লালন করার সমস্ত রসদ জুগিয়েও, কেন তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করল বিজেপি? নাগরিকত্ব কোথায়? কেন এই প্রতারণা? প্রশ্ন করছেন উদ্বাস্তুরা। জবাব চাইতে আজ, বুধবার ঠাকুরবাড়িতে মহাবিক্ষোভে শামিল হবেন মতুয়া সম্প্রদায়ের লোকজন। থাকবেন পাগল, গোঁসাই ও দলপতিরাও।
দেড় মাস ধরে শান্তনুবাবুর উদ্যোগে ঠাকুরবাড়ির নাটমন্দিরের ক্যাম্প থেকে মতুয়া কার্ড ও ধর্মীয় শংসাপত্র ঢালাও বিলি করা হয়েছে। মাথাপিছু খরচ হয়েছে হাজার টাকা। সেই টাকা জলেই গিয়েছে। মঙ্গলবার রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ তথা মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি মমতা ঠাকুরের তোপ, ‘মতুয়ারা অপমানিত, ক্ষিপ্ত। দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের আবেগ নিয়ে খেলে, ছুড়ে ফেলে দিল বিজেপি। শুধু প্রতিশ্রুতিই যে বিলি করে যাওয়া হয়েছিল, তা বিলক্ষণ বুঝেছেন মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ। শান্তনু ঠাকুরের কাছে জবাব চাইতে যাবে মানুষ।’ মতুয়া দলপতি সুকেশ হালদারের কথায়, নাগরিকত্ব পেলে, ভোটাধিকারও থাকত। স্রেফ প্রতারণা করা হল। এখন বাস্তবটা বুঝে মতুয়াদের সহ্য করে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন শান্তনু ঠাকুর! তাঁর প্রতিশ্রুতি কোথায় গেল?