Pakistan: ইসলামাবাদে TLP-এর বিক্ষোভে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে মৃত ২

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২১.১০: পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে শুক্রবার সকাল থেকে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। গাজার সমর্থনে মার্কিন দূতাবাস ঘেরাওয়ের ডাক দিয়ে পথে নামে কট্টরপন্থী ইসলামি সংগঠন ‘তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তান’ (TLP)। সংগঠনের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও সেনাপ্রধান আসিম মুনির আমেরিকার দালাল, এবং ইজরায়েলের গাজা হামলায় তারা পরোক্ষভাবে সমর্থন জানাচ্ছেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে ইসলামাবাদে বিশাল মিছিলের আয়োজন করে TLP, যা পরিণত হয় হিংসাত্মক সংঘর্ষে।
সরকার আগেই আন্দাজ করেছিল পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে পারে। তাই ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডিতে মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং রেড জোন এলাকায় কন্টেনার দিয়ে ব্যারিকেড তৈরি করা হয়। তবু হাজার হাজার TLP সমর্থক মার্কিন দূতাবাসের দিকে এগোতে থাকলে পুলিশ বাধা দেয়। শুরু হয় কাঁদানে গ্যাস, লাঠিচার্জ এবং গুলির লড়াই। সংঘর্ষে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে TLP
শুধু ইসলামাবাদ নয়, লাহোরেও বৃহস্পতিবার TLP-এর বিক্ষোভে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আরও দু’জনের মৃত্যু হয়। ইসলামাবাদে মার্কিন দূতাবাসের তরফে একটি সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, এই বিক্ষোভের জেরে রাস্তাঘাট বন্ধ হতে পারে, যান চলাচলে সমস্যা দেখা দিতে পারে, এবং মার্কিন নাগরিকদের এই এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে
পাকিস্তান সরকারের তরফে TLP-এর বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তালাল চৌধুরী জানিয়েছেন, এই সংগঠন গাজার সংঘাতকে হাতিয়ার করে দেশের ভিতরে হিংসা ছড়াতে চাইছে। তাঁর দাবি, বিক্ষোভকারীদের কাছ থেকে লাঠি, রাসায়নিক, কাচের মার্বেল, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। তিনি TLP কর্মীদের ভাড়াটে গুন্ডা বলেও আখ্যা দিয়েছেন
অন্যদিকে, TLP-এর দাবি, তারা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিল, কিন্তু পুলিশই প্রথমে হামলা চালায়। পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত, এবং ইসলামাবাদে সকল হোটেল খালি করে দেওয়া হয়েছে। করাচি, লাহোর ও পেশোয়ারে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসগুলিতেও উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
এই ঘটনায় পাকিস্তানে রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রশাসন সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে।