শীতের শুরুতে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপতালে সাপে কাটা রোগীর সংখ্যা কমেছে

নিম্নচাপ কেটে যেতেই শীতের আমেজ অনুভূত হচ্ছে পূর্ব বর্ধমান জেলায়।

November 21, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিম্নচাপ কেটে যেতেই শীতের আমেজ অনুভূত হচ্ছে পূর্ব বর্ধমান জেলায়। তবে শীতের শুরুতে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সাপে কাটা রোগীর সংখ্যা কমেছে। কিন্তু অন্য এক বিপদের কথাও শোনাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বেশিরভাগ বিষধর সাপই এই সময় বাড়িতে ঢুকে যাচ্ছে। কারণ সাপ শীতঘুমে যাওয়ার জন্য বাড়ির মধ্যে এসে গর্ত, ঝোপঝাড়ের মতো নিরিবিলি স্থান খুঁজছে। ফলে বাড়ির মধ্যেই মানুষজন সাপের কামড় খাচ্ছেন।


বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিগত তিন চার বছরে নভেম্বর থেকে জানুয়ারি মাস অবধি সাপে কাটা রোগীর সংখ্যা খুবই কম হয়। ২০২০ সালে নভেম্বর মাসে বর্ধমান মেডিক্যালে ১১৪ জন ও ডিসেম্বরে ৪৪জন সাপে কাটা রোগী ভর্তি হয়েছেন। জুলাই ও আগস্ট মাসে সেই সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৩৪০ ও ৩৮০। এবছরও নভেম্বরের শুরুতে শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই ধরনের রোগীর সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। এখনও পর্যন্ত ২২ জন রোগী সাপের কামড় খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। যদিও প্রাক শীতের মুহূর্তেই মানুষজনকে বেশি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ সাপেরা গর্ত, ঝোপঝাড়ের মতো নিরিবিলি স্থান খুঁজে আগামী বেশ কয়েক মাস থাকবে। অনেক বিষধর সাপ নিরাপদ আশ্রয় পেতে বাড়ির ভিতরে ঢুকে যাচ্ছে। বাড়ির গর্ত, জ্বালানির স্তূপ, মুরগি, হাঁসের খোপে এসে আশ্রয় নিচ্ছে।


বর্ধমান মেডিক্যালের ডেপুটি সুপার কুণালকান্তি দে বলেন, সাপের কামড়ের সংখ্যাটা কমলেও, এমাসের শুরু থেকেই বেশিরভাগ রোগী বিছানায় কামড় খেয়ে হাসপাতালে আসছেন।ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির সর্পবিশারদ মরুৎ দেব বলেন, সাপের স্বাভাবিক জীবনযাত্রার অনেকটা পরিবর্তন হয়েছে। সাপে কামড়ের সংখ্যাটা শীতকালে কমলেও মানুষজনকে এখন আরও বেশি করে সতর্ক থাকতে হবে। প্রায়ই বাড়ির ভিতরে বিষধর সাপ ঢোকার ফোন পেয়ে আমাদের সাপ উদ্ধার করতে যেতে হচ্ছে। বেশিরভাগ সময় বিষধর সাপের সন্ধানই মিলছে। গোখরো, কেউটে, চন্দ্রবোড়া ও কালাচ, পশ্চিমবঙ্গে মূলত এই চার প্রজাতির বিষধর সাপের কামড়ে মানুষজন বেশি মারা যান। কালাচ সাপটি স্বভাবে শান্ত হলেও মারাত্মক বিষধর। শীতের শুরুতে এই সাপটিই মূলত বাড়ির ভিতরে চলে আসছে। গলসিতে কালাচ সাপের কামড়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া এক রোগীর ছেলে সুজয় সানা বলেন, বাড়ির মেঝেতে মা শুয়েছিলেন। সকালে উঠে বিছানার পাশেই কালাচ সাপটিকে দেখতে পায়। কিছুক্ষণ পর মায়ের পেটে যন্ত্রণা শুরু হওয়ায় আমরা হাসপাতালে নিয়ে আসি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen