আনিস খুনের তদন্তে বাধা দিচ্ছে কিছু রাজনৈতিক দল!
বুধবার এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে রাজ্য পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজি) মনোজ মালব্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ধৃতদের মধ্যে কাশীনাথ হোমগার্ড এবং প্রীতম সিভিক ভলান্টিয়ার।

আশঙ্কাই সত্যি হল।
আনিস কাণ্ডে শেষপর্যন্ত উঠে এল পুলিশের ভূমিকার কথাই। গ্রেপ্তার করা হল দুই পুলিশকর্মী কাশীনাথ বেরা এবং প্রীতম ভট্টাচার্যকে। বুধবার এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে রাজ্য পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল (ডিজি) মনোজ মালব্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘ধৃতদের মধ্যে কাশীনাথ হোমগার্ড এবং প্রীতম সিভিক ভলান্টিয়ার। দু’জনেই আমতা থানায় কর্মরত ছিলেন। এই ঘটনায় আগেই তিন পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।’ আমতার বাসিন্দা এই ছাত্র নেতার মৃত্যুর পর খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ধৃত দু’জনকে সেই ধারাতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে ডিজি জানিয়েছেন। এই ঘটনা যে কোনও ‘অস্বাভাবিক মৃত্যু’ নয়, রীতিমতো খুন তা পরিষ্কার করে দিয়েছেন ডিজি। ভবানী ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনের সময় তিনি বলেন, আনিস খান মার্ডার কেসে ইতিমধ্যেই কলকাতা এবং আমতায় বিক্ষোভ দেখিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। তদন্তের জন্য রাজ্য সরকার স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (সিট) তৈরি করলেও, সিটকে কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ডিজি। তাঁর কথায়, ‘সিটকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। কিছু রাজনৈতিক দল সিটের কাজে বাধা দিচ্ছে। পরিবারও সহযোগিতা করছে না। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মৃতদেহ ফের ময়নাতদন্তের জন্য চেষ্টা করা হলেও পরিবারের তরফে সহযোগিতা করা হচ্ছে না। তদন্তে সহযোগিতা করুক পরিবার।’ তিনি আরও বলেন, ‘নিরপেক্ষভাবে তদন্ত হচ্ছে। ১৫ দিনের মধ্যেই সব বেরিয়ে আসবে।’
রাজ্য পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, ঘটনার দিন থানার আরটি ভ্যানে এই দু’জন ছাড়াও আরও কয়েকজন ছিলেন। তাঁদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বুধবার ভবানী ভবনে আমতা থানার কয়েকজনকে ডেকে পাঠানো হয়। সেখানে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিট সদস্যরা। তবে পুলিশের কাছে পরিষ্কার যে, ঘটনার রাতে পুলিশই আনিসের বাড়িতে গিয়েছিল। তদন্তের বিষয়ে খোলসা করে না বললেও ডিজির বক্তব্যেও সেই সুর ধরা পড়েছে।