Petrol Pump: দক্ষিণবঙ্গের পেট্রল পাম্পগুলিতে তেলের সঙ্কটের আশঙ্কা, কারণ কী?
এই পরিস্থিতিতে হাওড়া সিটি পুলিশ কমিশনার এবং প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসবেন অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৯:৫৭: কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় পেট্রল পাম্পে জ্বালানি তেলের ঘাটতির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে হাওড়ার মৌরিগ্রাম তেল ডিপোতে ট্যাঙ্কার চালক ও খালাসিরা কর্মবিরতি শুরু করেছেন। এর ফলে ডিপো থেকে কোনও ট্যাঙ্কার বেরোয়নি, যা জ্বালানি তেল সরবরাহ ব্যবস্থায় বড়সড় প্রভাব ফেলতে পারে।
এই কর্মবিরতি যদি রবিবার পর্যন্ত গড়ায়, তাহলে বিভিন্ন জেলায় পেট্রল ও ডিজেলের সরবরাহে বিঘ্ন ঘটতে পারে, এমনটাই আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট মহল। পরিস্থিতি নজরে রেখে প্রশাসন ও তেল সংস্থাগুলি বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রশাসনের নির্দেশ অনুযায়ী, দ্বিতীয় হুগলি সেতু ও কোনা এক্সপ্রেসওয়ের মেরামতির কাজ চলায় দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মাত্র চার ঘণ্টার জন্য ট্যাঙ্কার চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আগে যেখানে দিনে দু’বার নির্দিষ্ট সময় বাদে ট্যাঙ্কার চলাচলের ছাড়পত্র ছিল, এখন এত কম সময়ে বিপুল সংখ্যক ট্যাঙ্কার গন্তব্যে পৌঁছতে পারছে না। চালক ও মালিকদের অভিযোগ, এতে প্রচুর ক্ষতি হচ্ছে।
ফলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ট্যাঙ্কার মালিকরা। মৌরিগ্রাম ডিপোতে অন্তত ৩০০ ট্যাঙ্কার এখন আটকে আছে বলে জানা গিয়েছে। প্রতিদিন প্রায় ৫৫০টি ট্যাঙ্কার ওই ডিপো থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তেল সরবরাহ করে থাকে।
ওয়েস্ট বেঙ্গল পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের ওয়ার্কিং প্রেসিডেন্ট প্রসেনজিত সেন জানিয়েছেন, নতুন নির্দেশিকায় তাঁরা সমস্যায় পড়েছেন। তাঁর কথায়, “ট্যাঙ্কারে তেল ওঠা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শনিবার বিকেল থেকেই কলকাতা, হাওড়া সহ বিভিন্ন জেলার পেট্রল পাম্প শুকোতে শুরু করবে। এমনকী কলকাতা বিমানবন্দরেও সরবরাহ ব্যাহত হতে পারে।”
এই পরিস্থিতিতে হাওড়া সিটি পুলিশ কমিশনার এবং প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসবেন অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা।