জঙ্গিপুরে তৃণমূলে যোগদানে মানতে হবে বিশেষ নির্দেশিকা, নেপথ্যে কারণ কী?

September 16, 2025 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৯:২৪: দলীয় সভা বা মঞ্চে হঠাৎই কেউ পতাকা হাতে দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন নেতাদের পাশে, অথচ সে খবর অনেক সময় জেলা সভাপতিও পাচ্ছেন না। এই অবাঞ্ছিত পরিস্থিতি এড়াতেই এবার কড়া ব্যবস্থা নিল জঙ্গিপুর (Jangipur) সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল (TMC)।

গত রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এই নির্দেশিকা জারি করেন জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা সাংসদ খলিলুর রহমান (Khalilur Rahman)। বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট লেখা, এটি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে করা হচ্ছে। যোগদানের সময়, স্থান, নাম, তিনি কোন দল থেকে আসছেন এবং আগের দলে তাঁর পদ কী ছিল- এসব বিস্তারিত জানানো বাধ্যতামূলক। নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, নিয়ম ভাঙলে বিষয়টি গুরুতর ভাবে দেখা হবে।

তবে প্রশ্ন উঠেছে, কেন শুধু জঙ্গিপুরেই এই নির্দেশিকা? খলিলুরের ব্যাখ্যা, “পার্টি যেমন বলেছে তেমনই করেছি।” যদিও তিনি স্পষ্ট করতে পারেননি কেন অন্য জেলায় একই রকম নিয়ম জারি হয়নি। তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতার বক্তব্য, “কিছু সাংগঠনিক জেলা রাজনৈতিক ভাবে খুব স্পর্শকাতর। জঙ্গিপুর তার মধ্যে অন্যতম। ধাপে ধাপে বাকি জেলাতেও এই নিয়ম কার্যকর হতে পারে।”

রাজনৈতিক মহলের মতে, এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে মূল উদ্দেশ্য হলো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরাসরি নিয়ন্ত্রণে সংগঠনকে আরও সুসংগঠিত করা। জঙ্গিপুরের সামশেরগঞ্জ, সুতির মতো এলাকাই কয়েক মাস আগে হিংসার ঘটনায় শিরোনামে এসেছিল। তাই সেখানে যোগদানের মতো সংবেদনশীল বিষয়টি নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইছে নেতৃত্ব।

এদিকে নজর কাড়ছে আইপ্যাককে (IPAC) বিষয়টি জানানো বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত। তৃণমূলের এক নেতার মতে, “ব্লক ও টাউন স্তরে রদবদল হচ্ছে আইপ্যাকের সমীক্ষার ভিত্তিতেই। ফলে নতুন যোগদানের ক্ষেত্রেও তাদের মতামত জরুরি। কারণ এলাকাভিত্তিক যাবতীয় তথ্য তাদের হাতেই আছে।”

উল্লেখ্য, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নেতৃত্বে ইতিমধ্যেই একের পর এক সাংগঠনিক জেলায় রদবদল চলছে। বসিরহাট ও যাদবপুর-ডায়মন্ড হারবারে বৈঠকের পর এই প্রক্রিয়া আরও গতি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এখন দেখার, জঙ্গিপুরের মতো অন্য জেলাগুলিতেও কি একই নির্দেশিকা জারি হয়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen