পুজোর মরশুমে রাজ্যের বন্ধ কারখানার শ্রমিকদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ রাজ্যের
পুজোর ছুটি শুরুর প্রাক মুহূর্তে অন্তত সাড়ে ২৭ হাজার কর্মহীন শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য বকেয়া ভাতার টাকা মঞ্জুর করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার

উৎসব মরশুমে রাজ্যের বন্ধ কারখানার শ্রমিকদের জন্যও সুখবর। পুজোর ছুটি শুরুর প্রাক মুহূর্তে অন্তত সাড়ে ২৭ হাজার কর্মহীন শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য বকেয়া ভাতার টাকা মঞ্জুর করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে অর্থদপ্তর। এতে উপকৃত হবেন অন্তত ২৭ হাজার কর্মহীন শ্রমিক। কেবল বকেয়াই নয়, একই সঙ্গে তাঁদের মিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে উৎসব ভাতাও।
পুজোর ছুটির আগে শেষ কাজের দিন ছিল শুক্রবার। ওইদিন সকাল থেকেই শ্রমদপ্তরের আধিকারিকরা এই কর্মহীন শ্রমিকদের বকেয়া মেটানোর ব্যাপারে বিশেষ উদ্যোগ নেন। বিগত বেশ কিছু দিন ধরেই তাঁরা এবিষয়ে নবান্নের সঙ্গে দৌত্য করছিলেন অর্থ বরাদ্দের অনুমোদনের জন্য। বিষয়টি কানে যায় মুখ্যমন্ত্রীরও। শেষ পর্যন্ত ওইদিনই সেই সংক্রান্ত সবুজ সঙ্কেত মেলে নবান্নের তরফে। বিভিন্ন জেলা থেকে আনা হিসেব যোগ করে দেখা যায়, রাজ্যের মোট ১৭৫টি বন্ধ কারখানার আবেদনকারী প্রায় সাড়ে ২৭ হাজার বেকার শ্রমিকের মাসিক দেড় হাজার টাকার ভাতা বকেয়া রয়েছে তিন মাস ধরে। সেই সংক্রান্ত বরাদ্দের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ফি বছরের মতো এবারেও উৎসব ভাতা হিসেবে প্রত্যেককে এক মাসের বাড়তি অর্থ দেওয়ারও প্রস্তাবেও সায় দেয় অর্থদপ্তর। সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকা এজন্য কোষাগার থেকে খরচ হচ্ছে শ্রমদপ্তরের।
তবে একেবারে শেষ মুহূর্তে অনুমোদন আসায় পুজোর আগে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকরা হাতে এই টাকা পাচ্ছেন না। কারণ, শনিবার থেকে ট্রেজারিগুলি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পুজোর ছুটির মধ্যে এই টাকা শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে না। তবে ছুটি শেষ হলেই তাঁরা সেই টাকা পাবেন। যে ভাবেই হোক, অক্টোবরের মধ্যেই তাদের প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে মোট ৬ হাজার টাকা করে ঢুকে যাবে বলে একপ্রকার গ্যারান্টি দিয়েছেন শ্রমদপ্তরের অফিসাররা।
বন্ধ কারখানার শ্রমিকদের এই বিশেষ ভাতা দেওয়ার প্রকল্পটি চালু হয় ২২ বছর আগে বাম আমলে। তৃণমূল জমানায় অবশ্য ভাতার পরিমাণ কিছুটা বাড়ে। সব মিলিয়ে ফি মাসে গড়ে প্রায় ৩০ হাজার শ্রমিককে এই টাকা দেওয়া হয় শ্রমদপ্তরের তরফে। তবে শ্রমিক সংগঠনগুলির নেতৃত্ব সরকারের কাছে বারবার ভাতার পরিমাণ বাড়ানোর দাবি করেছেন। তবে এই মুহূর্তে ভাতা বৃদ্ধির কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে।