দেশজুড়ে আবার লকডাউন? প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে জল্পনা
লকডাউন হলেও ভ্যাকসিন দেওয়া যেন কমে না যায়।

আবার দেশজুড়ে কি লকডাউন ঘোষণা করা হবে? এই জল্পনার কারণ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৃহস্পতিবার কোভিড রিভিউ বৈঠকে বলেছেন, ভ্যাকসিনই একমাত্র পথ। তাই ভ্যাকসিন দেওয়ার হার কোনওভাবেই কমানো যাবে না। এমনকী লকডাউন থাকলেও ভ্যাকসিন দেওয়া যেন থমকে না যায়। এরপরই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি কেন্দ্রীয় সরকার দেশজুড়ে লকডাউনের কথা ভাবছে? বুধবার নীতি আয়োগের এক সদস্য জানিয়েছিলেন, লকডাউন নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। তবে ঘোষণা করা হবেই সেরকম সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। বৃহস্পতিবার সরকারি আধিকারিকরা পর্যালোচনা বৈঠকে জানালেন, রাজ্যগুলিকে ইতিমধ্যেই সাড়ে ১৭ কোটি ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। রেমডিসিভির সহ বিভিন্ন ওষুধের উৎপাদন ও আমদানিতে সরকার উদ্যোগী হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সরকারি বিবৃতিতে এই বৈঠকের বিবরণ জানানো হলেও, রাজ্যে রাজ্যে অক্সিজেন, ভ্যাকসিন, ওষুধের সঙ্কট নিয়ে কোনও মন্তব্যই করা হয়নি। বরং প্রধানমন্ত্রীকে বলা হয়েছে, ইতিমধ্যেই ৪৫ বছরের বেশি নাগরিকদের ৩১ শতাংশ অন্তত প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন নিয়েছেন। করোনা নিয়ে যে কোনও চিকিৎসা সঙ্কট অথবা দেশজুড়ে ভ্যাকসিনের অভাব রয়েছে, সে ব্যাপারে সরকারি বিবৃতিতে কোনও উচ্চবাচ্যই করা হয়নি। প্রধানমন্ত্রীকে সামগ্রিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জানাতে গিয়ে বলা হয়েছে, রাজ্যগুলিকে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে একটি নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, রাজ্যগুলি যেন সেইসব জেলাকে চিহ্নিত করে যেখানে করোনা পজিটিভ হওয়ার হার ১০ শতাংশের বেশি অথবা ৬০ শতাংশের বেশি হাসপাতালের বেডে রোগী ভর্তি আছে। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ওষুধের জোগান ঠিক কোন অবস্থায় রয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদি বলেছেন, ভ্যাকসিনই একমাত্র সমাধান। তাই লকডাউন হলেও ভ্যাকসিন দেওয়া যেন কমে না যায়। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, স্বাস্থ্যকর্মীরা ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজে যুক্ত। তাঁদের কোনওভাবেই অন্য ডিউটিতে পাঠানো যাবে না।
প্রধানমন্ত্রীর রিভিউ বৈঠকের বিস্তারিত সরকারি বিবৃতিতে জানানো হলেও, ওষুধ, অক্সিজেন, ভ্যাকসিন ও হাসপাতালের বেডের সঙ্কট নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। এই সঙ্কট মেটাতে সরকার কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছে তারও কোনও ঘোষণা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী একা নন, এই বৈঠকে ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ হর্ষ বর্ধন, রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলও।