স্থবির সংগঠন! ন্যূনতম কাজই করছেন না সদস্যরা, ২৬শের আগে বড় চিন্তায় আলিমুদ্দিন

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৭:২২: ২৬’শের নির্বাচনের আগে বড় চিন্তায় আলিমুদ্দিন। ২৪শের লোকসভা ভোটে সিপিএমের (CPIM) হতাশাজনক ফলাফলের পুনরাবৃত্তি চাইছে না লাল পার্টির নেতৃত্ব। তাই সংগঠনে নিষ্ক্রিয়তার রোগ সারাতে তৎপর হয়ে বঙ্গ সিপিএম।
এর আগেই দলীয় রিপোর্টে উঠে এসেছিল, সংগঠনের একাংশ নির্দিষ্ট দায়িত্ব পালন করেননি। ভোটের সময় তাঁদের নিষ্ক্রিয়তা (Inactivity) ফলাফলে সরাসরি প্রভাব ফেলেছে বলেই মনে করছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট (Alimuddin Street)।
ইতিমধ্যেই দলের ভেতরে বার্তা দেওয়া হয়েছে, দায়িত্ব পালনে গাফিলতি দেখা গেলে যে কোনও স্তরের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুধু নিচুতলার কর্মী নয়, বড় নেতারাও এর বাইরে থাকছেন না। চব্বিশের নির্বাচনে এজি সদস্য ও সাধারণ সদস্যদের একাংশ কেবল যান্ত্রিক কাজ করেছেন, কেউ কেউ আবার দপ্তরের মধ্যেই নিজেদের সীমাবদ্ধ রেখেছিলেন। এবার স্পষ্ট নির্দেশ, ভোটের আগে দপ্তরে বসে নয়, মাঠে নেমে মানুষের সঙ্গে সময় কাটাতে হবে।
এর মধ্যেই জনসংযোগ (Public relations) জোরদার করতে ২৯ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে সিপিএমের ‘বাংলা বাঁচাও যাত্রা’ (Bangla Bachao Yatra)। ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এই কর্মসূচি। সংগঠনে জোয়ার নেই, আন্দোলনের ধারাবাহিকতা নেই, এসব অস্বস্তিকর পরিস্থিতি বদলাতেই রাজ্যজুড়ে যাত্রার আয়োজন। কিন্তু নেতৃত্বের মধ্যে সংশয় রয়েছে, এই কর্মসূচিতে কর্মী-সমর্থকদের যথেষ্ট অন্তর্ভুক্ত করা যাবে কি না। তাই প্রতিটি এলাকায় নির্দিষ্ট কোটা বেঁধে দেওয়া হয়েছে, কতজনকে নিয়ে যাত্রায় অংশ নিতে হবে।
এদিকে দলের ন্যূনতম পাঁচটি কাজ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আলিমুদ্দিন। দলীয় বৈঠকে নিয়মিত উপস্থিতি, মিছিল-মিটিংয়ে অংশগ্রহণ, গণসংগঠনের কাজে যুক্ত থাকা, নিয়মিত লেভি দেওয়া এবং দলের পত্র-পত্রিকা পড়া-এই পাঁচটি শর্ত পূরণ না করলে সদস্যপদ ধরে রাখাই কঠিন। কিন্তু অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট বলছে, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সদস্য এই ন্যূনতম নিয়মও মানছেন না।
২৬’শের বিধানসভা ভোটের আগে সংগঠনের ঢিলেঢালা অবস্থা যে নেতৃত্বকে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে, তা স্পষ্ট। দায়িত্বে গাফিলতি রোধ না গেলে ভোটের ময়দানে ফের ব্যর্থতা অবশ্যম্ভাবী। তাই বাধ্য হয়েই কঠোর পদক্ষেপে তৎপর হয়েছে বঙ্গ সিপিএম নেতৃত্ব।