ময়নায় দলীয় কর্মী খুনে মুখ পুড়ল রাজ্য বিজেপির! কিন্তু কেন?

পরিবার সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাত থেকেই বেপাত্তা ছিলেন কৃষ্ণ। বিভিন্ন জায়গায় তাঁর খোঁজ নিলেও হদিশ পাননি পরিবারের সদস্যরা। এরপর সকালে পিড়খালি ব্রিজের কাছ থেকে উদ্ধার হয় কৃষ্ণর রক্তাক্ত, ক্ষতবিক্ষত দেহ।

May 12, 2022 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে খুন। আর সেই খুনে রাজনীতির রং লাগাতে গিয়ে ফের মুখ পুড়ল বিজেপির। ময়নার বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় পুলিশ স্ত্রী ও ভাইকে গ্রেপ্তার করে জানিয়ে দিল, বউদিকে ভালবেসে দাদাকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিয়েছে ভাই! একেবারেই সম্পর্কের টানাপোড়েনে এই ঘটনা।

পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) ময়না থানার বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা কৃষ্ণ পাত্র। বিজেপি কর্মী হিসেবেই এলাকায় পরিচিত ছিলেন। গত পুরভোটে সক্রিয়ভাবে দলের কাজ করেছেন তিনি। পরিবার সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাত থেকেই বেপাত্তা ছিলেন কৃষ্ণ। বিভিন্ন জায়গায় তাঁর খোঁজ নিলেও হদিশ পাননি পরিবারের সদস্যরা। এরপর সকালে পিড়খালি ব্রিজের কাছ থেকে উদ্ধার হয় কৃষ্ণর রক্তাক্ত, ক্ষতবিক্ষত দেহ।

এরপরই রাজনৈতিক হিংসার অভিযোগ শোরগোল ফেলে দেন বিজেপি নেতারা। স্থানীয় নেতৃত্ব বাদ দিলেও বুধবার বাঁকুড়ায় পদযাত্রায় যোগ দিয়ে ময়নায় বিজেপি কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর প্রসঙ্গ তুলে রাজ্যে হিংসার পরিবেশ নিয়ে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি বলেন, ‘‘কৃষ্ণ রাজনীতি করতেন তাই আমরা ধরে নিচ্ছি রাজনৈতিক কারণে তাঁকে খুন করা হয়েছে। যা হচ্ছে ঠিক হচ্ছে না। ভয় দেখিয়ে কাজ না হওয়ায় একের পর এক কর্মীদের খুন করা হচ্ছে। এভাবে সরকার টিকবে না।”

যদিও তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সুব্রত কুমার মালাকার বলেন, নিছকই একটি পারিবারিক বিবাদকে কেন্দ্র করে এমন ঘটনায় হালে পানি পেতে হাওয়া গরম করার চেষ্টা করছে বিজেপি। পরবর্তীতে পুলিশ জানতে পারে, কৃষ্ণ পাত্র পেশায় ছিলেন ইটভাটার শ্রমিক। স্ত্রী রূপালি পাত্র ও দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে ছিল তাঁর সংসার। অন্যদিকে কৃষ্ণর ভাই বলরাম পাত্রও ইটভাটায় কাজ করেন। তাঁরও আলাদা সংসার রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বলরামের সঙ্গে কৃষ্ণের স্ত্রী রূপালির বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ককে কেন্দ্র করে পারিবারিক বিবাদ চলছিল। তার সেই কারণেই খুন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen