হেরিটেজ কোচবিহার শহরকে সাজিয়ে তোলার কাজ শুরু
এবার কোচবিহার শহরে ঢোকার মুখে দু’টি হেরিটেজ গেট করার সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন। শুক্রবার ল্যান্সডাউন হলে হেরিটেজ কমিটির বৈঠকে ওই গেটের নকশা চূড়ান্ত করা হয়।

রাজার শহর কোচবিহারকে (Cooch Behar) আগেই হেরিটেজ শহর ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। তারপর থেকেই কোচবিহার শহরকে সাজিয়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। তারই অঙ্গ হিসেবে শহরে থাকা ৪১টি হেরিটেজ নিদর্শনের সংস্কারের কাজ শুরু করা হয়েছে।
এবার কোচবিহার শহরে ঢোকার মুখে দু’টি হেরিটেজ গেট করার সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন। শুক্রবার ল্যান্সডাউন হলে হেরিটেজ কমিটির বৈঠকে ওই গেটের নকশা চূড়ান্ত করা হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় হেরিটেজ গেট দু’টির মধ্যে একটি হবে খাগড়াবাড়ির কেশব রোডে রনি সিনেমা হলের কাছে এবং অন্যটি হবে হরিণচওড়া থেকে ঘুঘুমারি মধ্যে।
এছাড়াও এদিনের বৈঠকে বাবুরহাটের কাছে একটি হেরিটেজ গেট করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি ওই বৈঠকে শহরে যে ৪১টি হেরিটেজ নিদর্শনের সংস্কারের কাজ শুরু করা হয়েছে তার গতি বাড়ানোর বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়। এদিনের ওই বৈঠক প্রায় সাড়ে তিনঘণ্টা ধরে চলে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক পবন কাডিয়ান, জেলার দুই প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ও বিনয়কৃষ্ণ বর্মন সহ পূর্তদপ্তরের ইঞ্জিনিয়ার, পুরসভার প্রতিনিধি, হেরিটেজ কমিটির সদস্যরা।
জেলাশাসক বলেন, এদিন জেলার হেরিটেজ কমিটির বৈঠক হয়। এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে বৈঠক হয়েছিল। যেসব কাজ এখনও হয়েছে সেগুলি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এছাড়াও সাগরদিঘি ও বৈরাগীদিঘির চারদিক সবুজায়ন ও সৌন্দর্যায়নের জন্য বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে। প্রাক্তন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, শহরে ঢোকার মুখে হেরিটেজ গেট করার জন্য বেশ কয়েকটি নকশা জমা পড়েছিল। এদিনের বৈঠকে একটি নকশা চূড়ান্ত হয়। আপাতত দু’টি গেট করা হচ্ছে। এর একটি খাগড়াবাড়িতে অন্যটি হরিণচওড়া থেকে ঘুঘুমারি এলাকার মধ্যে করা হবে। আমরা এদিন বেশকিছু বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি। যেসব কাজ চলছে, সেগুলি দ্রুত শেষ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাজার শহর কোচবিহারের আনাচে কানাচে রাজ আমলের অনেক নিদর্শন ছড়িয়ে আছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এই শহরকে হেরিটেজ সিটি বানানোর কথা বলেছেন। তারপর থেকেই শুরু হয়েছে এই শহরকে সাজিয়ে তোলার কাজ। কোচবিহারের মদনমোহন মন্দির, পাওয়ার হাউস, ভিক্টর প্যালেস, সাগরদিঘি, কোচবিহার পুরনো রেলওয়ে স্টেশন সহ মোট ৪১টি হেরিটেজ নিদর্শনকে প্রাথমিকভাবে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও শহরে ঢোকার মুখে প্রবেশপথে সকলকে স্বাগত জানাতে হেরিটেজ গেট করার সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া হয়েছিল।