নয়া বিদ্যুৎ বিলে আপত্তি জানিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিল রাজ্য সরকার
দেশের বিদ্যুৎ আইনে প্রস্তাবিত সংশোধনী নিয়েও এবার কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতের পথে হাঁটল রাজ্যের তৃণমূল সরকার। এই সংশোধনী বিল সার্বিকভাবে অসাংবিধানিক এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর সম্পূর্ণ বিরোধী বলে মনে করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন।
দেশের বিদ্যুৎ আইনে প্রস্তাবিত সংশোধনী নিয়েও এবার কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতের পথে হাঁটল রাজ্যের তৃণমূল সরকার। এই সংশোধনী বিল সার্বিকভাবে অসাংবিধানিক এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর সম্পূর্ণ বিরোধী বলে মনে করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন। তাই মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শে শুক্রবার রাজ্যের তরফে ২৪ পাতার চিঠি পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রকে। প্রসঙ্গত, গত ১৭ এপ্রিল নোটিস জারি করে এই আইন সংশোধনের বিষয়টি জানায় কেন্দ্র। এনিয়ে আপত্তি জানানোর জন্য এদিনই ছিল শেষ দিন।
রাজ্যের তরফে এই বিরোধিতায় অবশ্য খুশি বাম শিবির, বিশেষ করে তাদের শ্রমিক সংগঠনগুলি। তারা বলেছে, প্রস্তাবিত এই ‘কালা কানুনে’র ব্যাপারে তারা আগেই আপত্তি তুলে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছে। একই সঙ্গে মমতার হস্তক্ষেপ দাবি করে নবান্নেও চিঠি পাঠিয়েছিল। কেরলসহ দক্ষিণের কয়েকটি রাজ্যের পর নবান্নের বিরোধিতা কেন্দ্রবিরোধী আন্দোলনকে আরও জোরাল করবে বলে মানছে তারা।

বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় রাজ্যের তরফে এই চিঠি দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, দপ্তরের তরফে সংশোধনী বিল পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খতিয়ে দেখে এই চিঠির খসড়া তৈরি করা হয়। তারপর নবান্নের সর্বোচ্চ স্তরে পর্যালোচনার পর সবুজ সঙ্কেত পেয়ে এদিন তা দিল্লিতে পাঠানো হয়েছে।
এই চিঠির গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয়ের মধ্যে প্রধান হল খসড়া বিলের সাংবিধানিক বৈধতা সংক্রান্ত। রাজ্য সরকার মনে করে, বিদ্যুৎ যেহেতু যুগ্ম তালিকাভুক্ত বিষয়, তাই কেন্দ্র একতরফাভাবে এই আইন কার্যকর করতে পারে না। সেই অর্থে এই বিল অসাংবিধানিক। সেই সঙ্গে রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত বিষয়গুলির উপর নিয়ন্ত্রণ কায়েম করার জন্য বিভিন্ন ধারা সংযোজন করে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাত হানা হচ্ছে এই বিলের মাধ্যমে। বর্তমানে গরিবদের জন্য যে ভর্তুকির বিধান রয়েছে তা যেভাবে লোপ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তাতেও আপত্তি জানিয়েছে রাজ্য।