স্বাধীনতা সংগ্রামের স্মরণে বারাকপুরের গঙ্গাপাড়ে পার্ক গড়তে উদ্যোগী রাজ্য

সিপাহী বিদ্রোহ, মঙ্গল পান্ডের সংগ্রামের কথাও স্থান পাবে এই পার্কে। বারাকপুর কেন্দ্রের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী জানিয়েছে, উৎসধারা প্রকল্পের নিয়ে পর্যটন দপ্তরের সঙ্গে কথা হয়ে গিয়েছে। শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।

August 4, 2022 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

শুরু হতে চলেছে বারাকপুরের গঙ্গাপাড়ের সৌন্দর্যায়নের কাজ, সেজে উঠবে বারাকপুর। বাংলার অন্যতম প্রাচীন এই জনপদে ছড়িয়ে রয়েছে, স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ইতিহাস। এখান থেকেই সিপাহী বিদ্রোহের ঢেউ উঠেছিল। এবার স্বাধীনতার রক্তক্ষয়ী সেই সব সংগ্রামের ইতিহাস তুলে ধরতেই গঙ্গাপাড়ের এক কিমি এলাকা জুড়ে গড়ে তোলা হতে চলেছে পার্ক। বলা হচ্ছে, এই পার্কে গেলে চোখের সামনে ভেসে উঠবে স্বাধীনতা আন্দোলনের ইতিহাস।

২০১৭ সালে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী উৎসধারা প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন, সেই সঙ্গেও প্রাথমিকভাবে পাঁচ কোটি টাকা অনুমোদন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মিলেনিয়াম পার্কের অনুকরণে বারাকপুরে আধুনিক ও আকর্ষণীয় পার্ক গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ওই পার্কের প্রতিটি অংশে থাকবে সংগ্রামের সংগ্রামের ইতিহাস। সিপাহী বিদ্রোহ, মঙ্গল পান্ডের সংগ্রামের কথাও স্থান পাবে এই পার্কে। বারাকপুর কেন্দ্রের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী জানিয়েছে, উৎসধারা প্রকল্পের নিয়ে পর্যটন দপ্তরের সঙ্গে কথা হয়ে গিয়েছে। শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।

জানা গিয়েছে, গান্ধীঘাট থেকে অন্নপূর্ণা মন্দির পর্যন্ত গঙ্গার তীরে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এই পার্ক গড়ে তোলা হবে।স্বাধীনতা সংগ্রামের বিভিন্ন ঘটনার মডেলে সাজানো হবে পার্কটি। এই প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্ব রয়েছে রাজ্যের পূর্ত ও বনদপ্তর।

রাজ্যের ধারণা পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে এই পার্ক। পার্ক নির্মাণের জন্যে প্রথম দফায় প্রায় ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু নির্মাণের স্থানে লাটবাগানের রাইফেল রেঞ্জ থাকায় পুলিশের তরফে আপত্তি উঠেছিল। তাই গান্ধীঘাটের পর থেকে অন্নপূর্ণা মন্দির পর্যন্ত গঙ্গার ধার বরাবর এই প্রকল্প সরিয়ে আনা হয়। ইতিমধ্যেই সরকারের তরফে সম্মতি এসে গিয়েছে। আগামীতে এই পার্কটি বারাকপুরের পর্যটন মানচিত্রে অনন্য হয়ে উঠবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen