অক্সিজেন, ওষুধের আকাল মেটাতে হবে রাজ্যকেই, দায় এড়িয়ে এবার মন্তব্য মোদির

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথায়, এরকম সঙ্কট ১০০ বছরে একবার এসেছে।

May 15, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

অবশেষে মুখ খুললেন তিনি। তবে নতুন কোনও ঘোষণা অথবা আশ্বাসবার্তা নয়। অক্সিজেনের অভাব কিংবা ওষুধের আকাল, যাবতীয় সমস্যা সমাধানের দায় প্রধানমন্ত্রী চাপালেন রাজ্য সরকারের উপর। দায় এড়িয়ে বললেন, কলোবাজারি রুখতে হবে রাজ্যকেই। রাজ্যগুলি অভিযান করুক। কিষান সম্মান নিধি প্রকল্পের কিস্তির টাকা প্রদান অনুষ্ঠানে মোদি বললেন, অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাঁর সরকার রাতদিন কাজ করে চলেছে। দেশজুড়ে তৈরি হওয়া হাহাকার নিয়ে বলেছেন, আপনাদের প্রধান সেবক হিসেবে প্রতিটি কষ্ট ও অনুভূতি উপলব্ধি করতে পারছি। এই সংক্রমণের জন্য আমরা আমাদের কাছের মানুষকে হারিয়েছি। আপনাদের কষ্টে আমি বেদনাহত । 


প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথায়, এরকম সঙ্কট ১০০ বছরে একবার এসেছে। তাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করতে হবে। দেশজুড়ে ভ্যাকসিনের আকালে যখন আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে, তখন মোদি বলেছেন, আমরা গর্বিত যে ১৮ কোটির বেশি ভ্যাকসিন প্রদান করা সম্ভব হয়েছে। মোদির বার্তা ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নেওয়ার পরও সতর্কতা বজায় রেখেই চলতে হবে। অর্থাৎ মাস্ক পরে যেতে হবে। প্রসঙ্গত আমেরিকার বিশেষজ্ঞ মহল বৃহস্পতিবারই ঘোষণা করেছে, যে সমস্ত নাগরিকদের ভ্যাকসিন ডোজ সম্পূর্ণ হয়েছে, তাদের মাস্ক পরার দরকার নেই। গত মাসে একই ঘোষণা করেছে ইজরায়েলও। 


অক্সিজেন আর ওষুধের আকাল নিয়ে দেশবাসী যখন চরম দুর্ভোগে, তখন মোদি বলেছেন, রাজ্য সরকারগুলিকে কালোবাজারি প্রতিরোধ করতে হবে। কঠোরভাবে রাজ্য সরকারকে কালোবাজারির বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে হবে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ যখন প্রবল আকার নিতে শুরু করে তখন পাঁচ রাজ্যের ভোটের প্রচারে ঝাঁপিয়েছিল বিজেপি। সেই যুদ্ধে প্রধান সেনাপতি ছিলেন মোদি ও অমিত শাহ। বাংলায় পরাজয়ের পর হঠাৎ তাঁদের আর দেখা যায়নি। এখনও অমিত শাহ একপ্রকার অন্তরালেই। মোদি অনেকদিন পর এই প্রথম ভিডিও কনফারেন্স করলেন। অক্সিজেনের অভাব নিয়ে অবশ্য কোনও আশ্বাস বা নতুন দিশা দিতে পারেননি মোদি। তিনি শুধুই গতানুগতিক সতর্কতা রক্ষার কথা বলেই দায় সেরেছেন। বরং আশঙ্কার কথা শুনিয়ে বলেছেন, গ্রামাঞ্চলে এবার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে, যা উদ্বেগজনক।  


মোদি এদিন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে  ‘কিষান সম্মান নিধি’ প্রকল্পে বাংলার কৃষকদের কথা বিশেষ করে উল্লেখ করেন। বলেন, ‘এই প্রথম বাংলার কৃষকরা এই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন।’ পশ্চিমবঙ্গের ৭ লক্ষ ৩ হাজার ৯৫৫ জন কৃষককে এক লপ্তে এদিন দুটি কিস্তির (ডিসেম্বর ২০২০ থেকে মার্চ ২০২১ এবং এপ্রিল-জুলাই ’২১) চার হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এদিন সারা দেশে মোট ৯ কোটি ৫০ লক্ষ ৬৭ হাজার ৬০১ জন কৃষককে ২০ হাজার ৬৬৭ কোটি ৭৫ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকা সরাসরি দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের তরফে ট্যুইট করে জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর লাগাতার প্রচেষ্টায় অবশেষে রাজ্যের ৭ লক্ষ কৃষক কিষান সম্মান নিধির প্রথম কিস্তির টাকা পেলেন। বাংলার কৃষকদের জন্য সরকারের লড়াই চলবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen