গর্ত বোজানোর নয়া পদ্ধতিতে আরও টেকশই রাস্তা করার উদ্যোগ রাজ্য পূর্তদপ্তরের

এবার গর্তের চারপাশ অন্তত এক ফুট খুঁড়ে গোড়া থেকে মেরামত হবে রাস্তা। এর ফলে রাস্তার আয়ু যেমন বাড়বে, তেমনই দীর্ঘদিন টেকসই থাকবে।

January 19, 2022 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

কোথাও গর্ত, কোথাও ঢেউ খেলে গিয়েছে পিচ ঢালা রাস্তায়। ফলে গাড়িতে করে এইসব বেহাল রাস্তা দিয়ে যেতে গিয়ে কোমরের দফারফা হচ্ছে সাধারণ মানুষের। গোটা রাজ্যেই এক হাল রাস্তার। এইসব রাস্তাকে মসৃণ করতেই এবার মাঠে নেমেছে পূর্তদপ্তর। এক এক করে শুরু হয়েছে বিভিন্ন রাস্তার সমীক্ষার কাজ। দপ্তর সূত্রে খবর, আর প্যাচওয়ার্ক নয়, নয় জোড়াতাপ্পি। এবার গর্তের চারপাশ অন্তত এক ফুট খুঁড়ে গোড়া থেকে মেরামত হবে রাস্তা। এর ফলে রাস্তার আয়ু যেমন বাড়বে, তেমনই দীর্ঘদিন টেকসই থাকবে।

কলকাতায় ভিআইপি রোড দিয়েই এই কাজ শুরু হয়েছে। সেখানে চলছে সমীক্ষার কাজ। চিহ্নিত করা হচ্ছে গর্ত বা ‘পট হোল’। ইতিমধ্যেই কৈখালি, জোড়ামন্দির, দমদম পার্কে বিভিন্ন গর্তের চারপাশে এক ফুট করে খোঁড়া হয়েছে। তাতে ঢালা হচ্ছে ইটের টুকরো, স্টোনচিপ, বিটুমিন ও ম্যাস্টিক। এভাবেই মেরামত হবে গোটা রাস্তা। অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাও সারাই হবে এই পদ্ধতিতে।

পূর্তদপ্তরের কাজের অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে রেড রোড ও ভিআইপি রোড। আগেই তারা একথা ঘোষণা করেছিল। এই মেরামতির কাজের জন্য জার্মানি থেকে আনা হয়েছে মেকানাইজড ম্যাস্টিকের যন্ত্র। ইতিমধ্যেই সেই যন্ত্র চলে এসেছে কলকাতা বন্দরে। জানা গিয়েছে এই প্লান্ট তৈরি হবে রাজারহাটে। তবে ওই যন্ত্র আসার আগেই নতুন পদ্ধতিতে গর্ত ভরাটের কাজ শুরু করেছে পূর্তদপ্তর। ভরাট হয়ে গেলে ভিআইপি রোড আবার আগের মতো মসৃণ হয়ে যাবে। তখন আর লাফিয়ে লাফিয়ে যেতে হবে না গাড়িগুলিকে। ইএম বাইপাস, বি টি রোড সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় ছড়িয়ে রয়েছে এই ধরনের গর্ত। সেগুলিও ধীরে ধীরে এই পদ্ধতিতে সারাই করা হবে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন জেলায় প্রশাসনিক বৈঠক করতে গিয়ে বারে বারে রাস্তার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। গর্ত নিয়ে তো প্রকাশ্যেই উষ্মার কথা জানান বিভিন্ন বৈঠকে।

পূর্তদপ্তর বেশ কয়েকটি রাস্তা একেবারে নতুন করে তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হল বেলঘরিয়া স্টেশন থেকে বিরাটি হয়ে যশোর রোড পর্যন্ত সংযোগকারী এম বি রোড। ইতিমধ্যেই নতুন করে তৈরি হয়েছে চন্দননগর-ডানকুনি রোড, বনগাঁ-চাকদহ রোড। বিমানবন্দর থেকে বারাসতের সন্তোষপুর পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার রাস্তাও ক্রমে হয়ে উঠছে ঝাঁ চকচকে। এর জন্য খরচ ধরা হয়েছে ৬৮ কোটি টাকা।

একদিকে যেমন চলছে নয়া পদ্ধতিতে গর্ত বোজানোর কাজ, তেমনই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলির হাল ফেরানোর পরিকল্পনা নিয়েছে পূর্তদপ্তর। দপ্তরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার (রোডস) সুস্মিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এনিয়ে আলোচনা হয়েছে পূর্তসচিব ওঙ্কার সিং মিনার। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে রাস্তা মেরামতের জন্য অর্থদপ্তর টাকা বরাদ্দ করবে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen