যাত্রী চাহিদা অনুযায়ী এবার বদলাবে বাসের আকার ও আসন সংখ্যা, নতুন নির্দেশিকা জারি পরিবহণ দপ্তরের
দীর্ঘদিনের সেই দাবিতেই এবার সাড়া দিয়েছে পরিবহণ দপ্তর। নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, একই রুট পারমিটে আসন সংখ্যা কমানো বা বাড়ানো যাবে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১২:৫৭: রাজ্যের পরিবহণ ব্যবস্থায় আসছে বড় পরিবর্তন। যাত্রী সংখ্যার ওঠানামা মাথায় রেখে এখন থেকে বাসের আকার এবং আসন সংখ্যা পরিবর্তনের সুযোগ মিলবে বাস মালিকদের হাতে। সম্প্রতি রাজ্যের পরিবহণ দপ্তর এই সংক্রান্ত একটি নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।
বাস মালিকদের একাংশের দাবি ছিল, কোভিড-পরবর্তী সময়ে বহু রুটে যাত্রী সংখ্যা কমে গিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া অপরিবর্তিত থাকায় এবংজ্বালানির খরচের চাপে বাস চালানো আর লাভজনক হচ্ছে না। এর ফলে বহু রুটে বাস পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেছে। অন্যদিকে, কিছু কিছু রুটে যাত্রী চাহিদা বেড়েছে, যেখানে বড় বাসের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাস মালিকরা সরকারের কাছে বাসের আসন সংখ্যা এবং আকার পরিবর্তনের অনুমতি চেয়েছিলেন।
দীর্ঘদিনের সেই দাবিতেই এবার সাড়া দিয়েছে পরিবহণ দপ্তর। নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, একই রুট পারমিটে আসন সংখ্যা কমানো বা বাড়ানো যাবে। প্রয়োজনে ছোট আকারের বাস বা বড় আকারের নতুন বাসও রুটে নামানো যাবে। এতদিন পর্যন্ত বাসে ন্যূনতম আসন সংখ্যা ছিল ৩৮, ও যখন কাঠের বাস গুলি ছিল তখন ৪০। কিন্তু এবার সেই নিয়ম বদলে ন্যূনতম আসন সংখ্যা ধরা হয়েছে ২২ এবং সর্বোচ্চ ৫৫।
এছাড়াও, বাসের মেঝে থেকে ছাদ পর্যন্ত উচ্চতা অন্তত ছয় ফুট হতে হবে। যদি কোনও বাসের আসন সংখ্যা ৩০-এর কম হয়, তাহলে সেই বাসের জন্য ‘স্পেশ্যাল স্টেজ ক্যারেজ’ পারমিট নিতে হবে। আর ৩০ বা তার বেশি আসন থাকলে প্রযোজ্য হবে ‘স্টেজ ক্যারেজ’ পারমিট।
পরিবহণ দপ্তরের এই পদক্ষেপে অনেকেই মনে করছেন, রুটের চাহিদা অনুযায়ী সঠিক মাপের বাস ব্যবহার করা সম্ভব হবে। একদিকে কম যাত্রী থাকা রুটে ছোট বাস চালিয়ে খরচ কমানো যাবে, অন্যদিকে বেশি যাত্রী থাকা রুটে বড় বাস চালিয়ে যাত্রী সেবার মান বাড়ানো যাবে। পরিবহণ বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি রাজ্যের বাস পরিষেবার মান উন্নত করার পাশাপাশি বাস মালিকদের আর্থিক ক্ষতি কমাতে সাহায্য করবে।