ভিন রাজ্যের উপর নির্ভরশীলতা কমাতে এবার থেকে বাংলায় উৎপাদন করা হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে আলু বীজ
আলুর দাম বৃদ্ধিতে, গত সপ্তাহে নবান্নে অনুষ্ঠিত প্রশাসনিক বৈঠকে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আলুর দাম বৃদ্ধিতে, গত সপ্তাহে নবান্নে অনুষ্ঠিত প্রশাসনিক বৈঠকে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিষ্কার কথা ছিল, আগে রাজ্যের মানুষের কাছে ন্যায্য দামে আলু বেচতে হবে, তারপর তা যাবে অন্যত্র। প্রয়োজনে রাজ্য সীমানায় কড়াকড়িরও নির্দেশ দেন তিনি।
পরদিনই (গত শুক্রবার) বিশেষ বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। পরের দিন অর্থাৎ গত শনিবার হরিপালে কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্নার সঙ্গেও বৈঠক হয় আলু ব্যবসায়ীদের। ভিন রাজ্যে আলু রপ্তানি করা আপাতত বন্ধ করে দেওয়া হলেও দাম কমেনি আলুর। এই আবহে বৃহস্পতিবার বিধানসভায় ভিন রাজ্যের উপর আলু নিয়ে নির্ভরশীলতা কমানোর কথা বলেছেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
আলুর দাম বৃদ্ধি নিয়ে নাজেহাল অবস্থা মধ্যবিত্তের। সুফল বাংলার স্টলেও আলু বিক্রি হচ্ছে ৩২ টাকা কেজি দরে। টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা আজও বাজারে গিয়ে হম্বিতম্বি করেছেন। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হয়নি। এই বিষয়ে আলু উৎপাদন ও স্বনির্ভর হওয়া নিয়ে বিধানসভায় কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আলু নিয়ে ভিন রাজ্যের উপর নির্ভরশীলতা আর নয়। এবার থেকে বাংলায় উৎপাদন করা হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে আলু বীজ। ২০২৫ সাল থেকেই রাজ্যে উৎপাদন করা হবে ৫০ লক্ষ আলু বীজ। এভাবে ২০৩০ সালের মধ্যে আলু উৎপাদনে স্বনির্ভরশীল হবে রাজ্য।’