পাঁচশো’র বেশি প্রজাতির ধান ও বীজ সংরক্ষণ করে মিউজিয়াম গড়ে ফেলেছেন সুখদেব
সাগরের সুখদেব নাথের নেশা ধান ও ধান বীজ সংগ্রহ।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মালাবতী, আলতাবতী, কালবোখরার লুপ্তপ্রায় প্রজাতির ধান রয়েছে তাঁর সংগ্রহে। সাগরের সুখদেব নাথের নেশা ধান ও ধান বীজ সংগ্রহ। একদা সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রান্তে নানান প্রজাতির ধানের চাষ হত। সে’সব এখন বিলুপ্তির পথে। নতুন নতুন প্রজাতি আসার ফলে, পুরনো ধানের কদর কমে গিয়েছে। প্রাচীন কাল থেকে চাষ হওয়া এইসব বিলুপ্ত প্রায় ধান বাঁচিয়ে রাখছেন সুখদেব। বিলুপ্তপ্রায় এমন ৫২২ রকমের ধান ও তার বীজ, প্রবীণ এই কৃষকের সংগ্রহে রয়েছে। সমবায় গড়ে সেখানে এক প্রকার ধানের মিউজিয়াম গড়ে ফেলেছেন তিনি।
২০০৬ সাল থেকে এই সব ধান সংগ্রহ করেছেন তিনি। এক একটি প্রায় একশো থেকে দেড়শো বছরের পুরনো। ব্রিটিশ আমলে, তাঁদের হাত ধরেই সাগর, কুলতলি, কাকদ্বীপ-সহ বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন প্রজাতির ধান এসেছিল। ধীরে ধীরে তা অবলুপ্তির পথে। আজও হাতেগোনা কয়েকজন প্রবীণ কৃষক এই ধরনের ধানের চাষ করেন।
সংরক্ষণের পাশাপাশি তিনি কয়েকজন কৃষককে এই ধরনের ধান চাষ করতে উৎসাহ দিচ্ছেন। যাতে যেটুকু চাষ হয়, তা যেন বন্ধ না হয়ে যায়। বাংলা তো আছেই, ভিন রাজ্যের কৃষি মেলাতেও ডাক পান তিনি। বিলুপ্তপ্রায় ধানের প্রদর্শনী করেন।