AIFF সংবিধান মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায় আসন্ন, নতুন নির্বাচন ঘিরে জোরালো দাবি
বাণিজ্যিক অধিকার বণ্টনের স্বচ্ছতার জন্য আদালত প্রাক্তন বিচারপতি এল. নাগেশ্বর রাও-কে পুরো প্রক্রিয়া তদারকির দায়িত্ব দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১২:২৯: ভারতের ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন (AIFF)-এর সংবিধান নিয়ে চলা মামলায় সোমবার সুপ্রিম কোর্টে গুরুত্বপূর্ণ শুনানি হয়ে গেল। বিচারপতি এস. নারসিমহা এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চ জানিয়েছে, রায় প্রস্তুত এবং আর দেরি করা হবে না। মঙ্গলবারই ঘোষণা আসতে পারে।
এই দিনের শুনানিতে প্রধান বিতর্ক ছিল AIFF-এর নতুন সংবিধানকে কীভাবে জাতীয় ক্রীড়া শাসন আইন (National Sports Governance Act)-এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা যায় এবং বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির স্থানে দ্রুত নতুন নির্বাহী কমিটি গঠন করা প্রয়োজন কিনা।
এই মামলায় দিল্লি এফসি’র পক্ষ থেকে আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ এবং প্রাক্তন ফুটবলার ভাইচুং ভুটিয়ার প্রতিনিধি জোর দিয়ে বলেন, নতুন সংবিধানের কাঠামোর অধীনে অবিলম্বে নির্বাচন হওয়া দরকার। তাঁদের যুক্তি যে অন্তর্বর্তী কমিটি এখন ক্ষমতায় আছে, তাদের হাতে ভারতীয় ফুটবলের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করার নিরপেক্ষতা নেই। বিশেষ করে, আগামী ১০ থেকে ১৫ বছরের জন্য এফএসডিএল-এর সঙ্গে যে বাণিজ্যিক চুক্তি হতে চলেছে, তা নতুন নির্বাচিত কমিটির ঠিক করা উচিত।
ফিফা নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কা?
তবে এখানেই বড় প্রশ্ন উঠেছে যদি আদালত সরাসরি নির্বাচনের নির্দেশ দেয়, তবে ফিফা এটিকে “তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ” হিসেবে ধরে নিতে পারে। সেক্ষেত্রে ভারতের ফুটবলে আবারও নিষেধাজ্ঞা নেমে আসতে পারে। উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০২২ সালেও একই কারণে ফিফার অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছিল ভারত।
টেন্ডার প্রক্রিয়া নজরদারিতে প্রাক্তন বিচারপতি
বাণিজ্যিক অধিকার বণ্টনের স্বচ্ছতার জন্য আদালত প্রাক্তন বিচারপতি এল. নাগেশ্বর রাও-কে পুরো প্রক্রিয়া তদারকির দায়িত্ব দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। AIFF এবং FSDL-এর যৌথ প্রস্তাবে বলা হয়েছিল যে, এই টেন্ডার বড় চারটি আন্তর্জাতিক সংস্থা ডেলয়েট, কেপিএমজি, আর্নস্ট অ্যান্ড ইয়ং বা পিডব্লিউসি এর যে কোনও একটি নজরদারি করবে। কিন্তু আদালত বরং সরাসরি নাগেশ্বর রাও-এর তত্ত্বাবধানের দিকেই ইঙ্গিত দিয়েছে।
সোমবারের শুনানিতে বিচারপতি নারসিমহা স্পষ্ট করে বলেছেন,“আমরা চাইনা এই সংবিধান প্রক্রিয়াটি আর দেরি হোক।” ফলে মঙ্গলবারই বহুল প্রতীক্ষিত রায় ঘোষণা হতে পারে, যা আগামী দিনে ভারতীয় ফুটবলের প্রশাসনিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।