আদি নেতাদের ওপরেই ভরসা বিজেপির, ফাঁপরে শুভেন্দুরা?
দলের অন্দরমহলও বলছে, এবার ভোটের লড়াইয়ে বিজেপি মূলত সেই কর্মীদের নিয়েই ময়দানে নামবে, যাঁরা আদর্শগতভাবে দলের সঙ্গে দীর্ঘদিন যুক্ত।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৪:৪০: সদ্য বঙ্গ বিজেপির (Bengal BJP) সভাপতি হয়েছেন প্রবীণ নেতা শমীক ভট্টাচার্য (Samik Bhattacharya)। বাংলায় বিধানসভা ভোটের আর মাত্র সাত মাস বাকি। বিজেপিতে দলীয় কোন্দলের প্রধান কারণ ‘আদি বনাম নব্য’ বিতর্ক। তাই নতুন সভাপতি (State President) হয়েই এই বিতর্ক নিয়ে স্পষ্ট বার্তা শমীকের, এই ভোটে তাঁর আস্থা সেই আদি, লড়াকু কর্মীদের উপরই। তিনি জানিয়েছেন, বিজেপির নিজস্ব ভাবধারা ও রাজনীতির জায়গা রয়েছে, এবং শুধুমাত্র ‘এদিক-ওদিক’ থেকে লোক এনে নির্বাচনে লড়াই করা সম্ভব নয়।
দলের অন্দরমহলও বলছে, এবার ভোটের লড়াইয়ে বিজেপি মূলত সেই কর্মীদের নিয়েই ময়দানে নামবে, যাঁরা আদর্শগতভাবে দলের সঙ্গে দীর্ঘদিন যুক্ত। অতীতে যেভাবে অন্যান্য দল থেকে নেতাদের দলে নিয়ে আসার প্রবণতা ছিল, তা এই দফায় নিয়ন্ত্রণে আনা হবে।
সম্প্রতি দিল্লিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের (সুনীল বনসল, বিএল সন্তোষ ও শিবপ্রকাশ) সঙ্গে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন শমীক ভট্টাচার্য। সূত্রের খবর, কেন্দ্র ও সঙ্ঘের পক্ষ থেকেও একই বার্তা মিলেছে যে আদি কর্মীদের গুরুত্ব দিতে হবে। পাশপাশি, নতুন দলবদলুদের উপর অতিরিক্ত নির্ভরতা না রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
তাহলে কি আগত বিধানসভা ভোটে (Bengal assembly election 2026) কোনো দলবদলুকেই টিকিট দেওয়া হবে না? নাকি ভাঙন আটকাতে এই বার্তা ‘কৌশলগত’? সময়ই দেবে উত্তর। তবে এটুকু স্পষ্ট যে, শমীক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে বঙ্গ বিজেপি এখন অনেকটাই ‘আদি মুখ’ নির্ভর রণনীতি গ্রহণ করতে চলেছে। অতএব, শমীক ভট্টাচার্য সভাপতি হওয়ার পরে দোলে শুভেন্দু অধিকারীর অবস্থান যে বেশ খানিকটা নড়বড়ে হতে চলেছে তা স্পষ্ট। তাহলে কি হবে শুভেন্দুর মতন দলবদলু নেতাদের ভবিষ্যত? মুখ্যমন্ত্রী তো দূরের কথা, আর কোনও দিন কি মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীও হতে পারবেন শুভেন্দু অধিকারী, প্রশ্ন উঠছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে।