বিজেপির ডাকা বনধে ক্ষোভ দলের অন্দরেই, সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আর্জি বিরোধী দলনেতার
সকাল সাতটা নাগাদ হুগলির স্টেশনে ডাউন বর্ধমান লোকাল আটকে দেয় বনধ সমর্থকরা। ব্যান্ডেল রেল পুলিশ এসে অবরোধ সরিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করে। পরে হুগলি স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে আবারও বিক্ষোভ করে বিজেপি।

সোমবার বন্ধ ডেকেছিল বিজেপি। বেলা গড়াতে না গড়াতেই বন্ধ প্রত্যাহারের জন্য দলীয় নেতৃত্বকে অনুরোধ জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
নন্দীগ্রামের টেঙ্গুয়ায় এসে শুভেন্দু বলেন, “হঠাত্ করে ডাকা বন্ধে অনেকের অসুবিধা হচ্ছে। অনুরোধ করব বেলা ১২টায় প্রত্যাহার করে নিতে। আমি অনুরোধ করব ধর্মঘটিদের, প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে দেবেন। আপনারা অবরোধ প্রত্যাহার করে নিন।”
রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ফোনে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘উনি এমন কোনও কথা আমাকে বলেননি। বলেছেন সংবাদমাধ্যমে। আমাকে যদি তেমন কোনও আর্জি জানাতেন, তা হলে আলোচনা হত। তবে এখন বন্ধ প্রত্যাহার করা সম্ভব নয়।’’
প্রসঙ্গত, কলকাতা-সহ বন্ধের প্রভাব পড়েছে বিভিন্ন জেলাতে। বন্ধের জেরে ট্রেন চলাচলও ব্যাহত হয়। সকাল সাতটা নাগাদ হুগলির স্টেশনে ডাউন বর্ধমান লোকাল আটকে দেয় বনধ সমর্থকরা। ব্যান্ডেল রেল পুলিশ এসে অবরোধ সরিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করে। পরে হুগলি স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে আবারও বিক্ষোভ করে বিজেপি। নদিয়ার পায়রাডাঙ্গাতেও বিজেপি রেল অবরোধ করেন। সকাল দশটা নাগাদ বন্ধ সমর্থকরা এই রেল অবরোধ করেন। বালুরঘাটে সরকারি বাসস্ট্যান্ডে বিজেপি-র কর্মী সমর্থকরা বন্ধের সমর্থনে বিক্ষোভ দেখান। রাস্তায় বসে অবরোধও করেন তাঁরা। কোচবিহারেও বেসরকারি বাস না চলায় সমস্যার মুখে পড়েন নিত্যযাত্রীরা।বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির ফলে, পুলিশ কিছু বন্ধ সমর্থকদের আটকও করে।