টি২০ বিশ্বকাপের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা
জয়ের ফলে সেমিফাইনালে ওঠার আশা জিইয়ে রাখল প্রোটিয়ারা। আপাতত ৩ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ৪ পয়েন্ট।

মাঠের বাইরের বিতর্ক সরিয়ে জয়ের সরণিতে ফিরল দক্ষিণ আফ্রিকা (South Africa)। সৌজন্যে ডেভিড মিলারের অনবদ্য ফিনিশ। শেষ ওভারে লাহিরু কুমারাকে জোড়া ছক্কা মেরে প্রোটিয়াদের ৪ উইকেটে জিতিয়ে দিলেন তিনি। জয়ের ফলে সেমিফাইনালে ওঠার আশা জিইয়ে রাখল প্রোটিয়ারা। আপাতত ৩ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ৪ পয়েন্ট।
এদিন, শারজায় টসে জিতে প্রত্যাশিতভাবেই প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা (Temba Bavuma)। ম্যাচ শুরুর আগে এদিন নজর ছিল কুইন্টন ডি’ককের দিকে। বিতর্ক এড়াতে এদিন হাঁটু মুড়ে বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান প্রোটিয়া উইকেটকিপার। কৃষ্ণাঙ্গদের পাশে থাকার বার্তা দেন তিনি। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে প্রোটিয়াদের সামনে ১৪৩ রানের টার্গেট দেয় শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। লঙ্কাবাহিনীর হয়ে ৫৮ বলে ৭২ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন পাথুম নিশঙ্কা। দ্বীপরাষ্ট্রের আর কোনও ব্যাটসম্যান সেভাবে দাঁড়াতে পারেননি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল করেনি প্রোটিয়ারাও। টপ অর্ডারে অধিনায়ক বাভুমার ৪৬ রান ছাড়া আর সেভাবে উল্লেখযোগ্য ইনিংস কেউই খেলেননি। একটা সময় ১১২ রানে ৭ উইকেট খুইয়ে চাপে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ দু’ ওভারে প্রটিয়াদের প্রয়োজন ছিল ২৬ রান। শেষ ওভারে জোড়া ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ পকেটে পুরে নেন মিলার। ১৩ বলে ২৩ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তবে শ্রীলঙ্কা হারলেও অনবদ্য হ্যাটট্রিক করে নজর কাড়লেন হাসারঙ্কা। এটিই চলতি বিশ্বকাপের প্রথম হ্যাটট্রিক।
দুই ম্যাচে একটি জয়, একটি হার। একইরকম অবস্থায় থেকে একে অপরের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল শ্রীলঙ্কা এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। সেমিফাইনালের লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে দুই দলের কাছেই এটি ছিল কার্যত মরণ-বাঁচন ম্যাচ। এই ম্যাচে জয়ের ফলে প্রোটিয়া বাহিনী এখনও ভালমতোই সেমিফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে টিকে রইল। অন্যদিকে, শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপের (T20 World Cup) সেমিফাইনালে যাওয়ার আশা কার্যত শেষ।