মোদীর ভাষণ শুনে হতাশ উত্তরের চা শ্রমিকরা

May 30, 2025 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi
মোদীর ভাষণ শুনে হতাশ উত্তরের চা শ্রমিকরা

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি, ১১:০০: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চা-বলয়ের জন্য কিছু ঘোষণা করবেন, এমনটাই ভেবেছিলেন চা-শ্রমিকরা। কিন্তু সেরকম কোনও প্রতিশ্রুতি বা আশ্বাস না-পাওয়ায় নিরাশ চা-বলয়। বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ শুনে হতাশ উত্তরের চা শ্রমিকরা। এদিন প্রধানমন্ত্রী পাহাড়, তরাই ও ডুয়ার্সের চা বাগানের উন্নয়ন নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রের ভারী শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন যে চারটি বাগানে মাসের পর মাস বেতন হচ্ছে না, শ্রমিকদের পিএফ জমা পড়ছে না, সেসব নিয়েও মোদীর মুখে কিছুই শোনা যায়নি।

শুধু চা শ্রমিকরাই নন, মুখে স্বীকার না করলেও কার্যত হতাশ উত্তরের বিজেপি নেতারাও। সভার ২৪ ঘণ্টা আগেও বিজেপির জেলা নেতৃত্ব দাবি করেছিল, চায়ের জেলায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী। ফলে চা বাগান নিয়ে তিনি কিছু ঘোষণা করবেন, এমনটাই আশা করছেন তাঁরা। কিন্তু সেই আশা পূরণ না হওয়ায় তাঁরা এখন ড্যামেজ কন্ট্রোলে মরিয়া। মোদীর সভা শেষে আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ মনোজ টিগ্গার সাফাই, টি বোর্ডের মাধ্যমে চা বাগানের উন্নয়নে অনেক কাজ করছে কেন্দ্র। অন্যদিকে, হাসিমারায় অসামরিক বিমানবন্দর, আলিপুরদুয়ার জংশনে রেলের জমিতে মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতাল নিয়ে মোদী এদিন কিছু ঘোষণা করতে পারেন, এই আশায় বুক বেঁধেছিল জেলার মানুষ।

এদিকে, চা বাগান নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে বলেন, উনি বলেছিলেন, যদি তিনি ক্ষমতায় আসেন, তাহলে সব চা বাগান খুলে দেবেন। ১০ বছরের বেশি হয়ে গিয়েছে, একটা চা বাগানও তো তিনি খুলতে পারেননি। আমরা দু’সপ্তাহের মধ্যে ১৫টি চা বাগান খুলে দিয়েছিলাম। আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে এদিন মোদী বলেন, চা বাগান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। শ্রমিকরা কাজ হারাচ্ছেন। তাঁদের পিএফ নিয়ে যা হয়েছে, তা খুবই লজ্জাজনক। দোষীদের আড়াল করার চেষ্টা করছে তৃণমূল। তৃণমূলের চা বাগান শ্রমিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান নকুল সোনারের তোপ, পিএফ কেন্দ্রের অধীন। এরসঙ্গে আমাদের দলের কী সম্পর্ক?

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen