কাজ শুরু হলেও থমকে গেল শিক্ষকদের পেনশন রিভিশনের কাজ

লকডাউনের মধ্যে অনলাইনে কিছু কিছু কাজ শুরু করেছিল জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের দপ্তর বা ডিআই অফিসগুলি। কিন্তু পেনশন রিভিশন করতে গিয়ে আটকে গিয়েছেন তাঁরা। স্কুল বন্ধ। তাই নথি আসছে না। এরকম একটা অবস্থায় কাজটাই পুরো থমকে গিয়েছে। ফলে, আপাতত কয়েক হাজার শিক্ষককে পুরনো হারে পেনশন নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে।

May 11, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

লকডাউনের মধ্যে অনলাইনে কিছু কিছু কাজ শুরু করেছিল জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের দপ্তর বা ডিআই অফিসগুলি। কিন্তু পেনশন রিভিশন করতে গিয়ে আটকে গিয়েছেন তাঁরা। স্কুল বন্ধ। তাই নথি আসছে না। এরকম একটা অবস্থায় কাজটাই পুরো থমকে গিয়েছে। ফলে, আপাতত কয়েক হাজার শিক্ষককে পুরনো হারে পেনশন নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে।

কয়েকজন আধিকারিক জানান, ডিআই অফিসগুলি উদ্যোগ নিয়ে এই কাজ শুরু করেছিল। কিন্তু বেশ কিছু নথি লকডাউনের জন্য তাঁরা হাতে পাননি। ফলে সেই কাজ করা যাচ্ছে না। কোন শিক্ষকরা এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন? ২০১৬ সাল থেকে পরবর্তী দু’বছরে যাঁরা অবসর নিয়েছেন, তাঁদের সিংহভাগই পড়েছেন এই সমস্যায়। ওই সময় পেনশন সংক্রান্ত কাগজপত্র তাঁরা অফলাইনেই জমা দিয়েছিলেন। অনলাইন পরিষেবা পুরোদমে চালু হতে ২০১৮ সাল হয়ে যায়। অনেকে অনলাইনে সড়গড় না হওয়ার ফলে অফলাইনে কাগজপত্র জমা দিয়েছিলেন। আবার একটা লম্বা সময় অনলাইনে কিছু গলদের কারণে দেরি হচ্ছিল। তাই অফলাইনে জমা পড়া নথির সংখ্যা বেড়ে যায়। এদিকে, রোপা ২০১৯-এর অর্ডার মার্চের গোড়ার দিকে আসে অবসরপ্রাপ্তদের জন্য। পরিবর্তিত হারে তাঁরা পেনশন পাবেন ২০১৬ সাল থেকে। তার জন্য যে ‘পেপার ওয়ার্কস’ করা প্রয়োজন, সেটাই লকডাউনের জন্য আটকে গিয়েছিল। অনলাইনে নথি সংগ্রহের কাজ শুরু করতে গিয়েও বিশেষ লাভ হয়নি। কারণ বেশ কিছু তথ্য স্কুল থেকে আসবে। আর এখন তা বন্ধ।
মাধ্যমিক শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী সমিতি সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মাইতি বলেন, এই সমস্যার কথা আমরা শুনেছি। এর জন্য সেই অর্থে কাউকে দায়ী করা যাচ্ছে না।

বিপর্যয় না মেটা পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে। তবে এখন সবকিছুই অনলাইনে হয়ে যাওয়ায় সরকারের উচিত শিক্ষকদের এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ট্রেনিং দেওয়া। অনেক কষ্টে এই কাজগুলি করতে হয়। প্রধান শিক্ষক হয়ে সমস্যাটা বুঝি। অনেক স্কুলই আইসিটি শিক্ষকদের দিয়ে এই কাজ করিয়ে থাকে। কিন্তু সেটা ঠিক নয়। কারণ, তাঁদের ক্লাস নিতে হয়। কে কটা ক্লাস নিলেন, তার রিপোর্ট প্রধান শিক্ষককে দিয়ে সই করিয়ে পাঠাতে হয়। নবম শ্রেণী পর্যন্ত তাঁদের ক্লাস থাকে। একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীতে কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনের প্র্যাকটিক্যাল ক্লাস তাঁরা নেন। তাঁরা কখন এই কাজ করবেন? যে সব স্কুল তাঁদের দিয়ে এই কাজ করাচ্ছে, তারা সেই রিপোর্টে মিথ্যাচার করছে। এতে ছাত্রছাত্রীরা বঞ্চিত হচ্ছে। আর সব ক্লাস করিয়ে যদি আইসিটি শিক্ষকদের এই কাজে লাগিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে সেটা অন্যায়ভাবে তাঁদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হবে।  

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen