কানপুর টেস্ট ৭ উইকেটে জিতে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করে সিরিজ জিতল টিম ইন্ডিয়া

দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দিনে একটিও বল খেলা হয়নি। তার পরেও টেস্টে ফলাফল হল। নেপথ্যে ভারতের লাল বলে ‘টি-টোয়েন্টি ম্যাচ’ এবং বোলারদের দাপট।

October 1, 2024 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কানপুরে রেকর্ডে ভরা টেস্ট ম্যাচে আড়াই দিনেই কুপোকাত বাঘেরা। ৭ উইকেটে কানপুর টেস্ট জিতে দুই ম্যাচের সিরিজে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করল টিম ইন্ডিয়া। প্রথম দিন মাত্র ৩৫ ওভার খেলা হয়েছিল। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দিনে একটিও বল খেলা হয়নি। তার পরেও টেস্টে ফলাফল হল। নেপথ্যে ভারতের লাল বলে ‘টি-টোয়েন্টি ম্যাচ’ এবং বোলারদের দাপট।

ভারতে আসার আগে পাকিস্তানকে দুটি টেস্টেই হারিয়ে এসেছিল বাংলাদেশ। ভারতের মাটিতে রোহিতদের হারাবেন, এরকম স্বপ্নও দেখেছিলেন অনেকে। কিন্তু স্বপ্ন আর বাস্তবের মধ্যে পার্থক্য কতটা সেটা নিশ্চয়ই এখন বুঝতে পারছেন শাকিব-মুশফিকুররা। চেন্নাইয়ে প্রথম টেস্টে হেরেছিলেন ২৮০ রানে। দ্বিতীয় টেস্টে ভারত জিতল ৭ উইকেটে।

অথচ একটা সময় মনে হচ্ছিল, ড্রয়ের দিকে এগোচ্ছে এই টেস্ট। বৃষ্টির জন্য প্রথম দিন হয়েছিল মাত্র ৩৫ ওভার। তখন বাংলাদেশের ব্যাটিং স্থিতিশীল জায়গায় ছিল। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনে বলই গড়ায়নি। চতুর্থ দিনে যখন দুদল মাঠে নামে, তখন কে জানত টেস্ট ক্রিকেটের সংজ্ঞাই বদলে দেবেন রোহিতরা। হাতে মাত্র দুদিন। বাংলাদেশ ব্যাটিংকে ধরাশায়ী করার কাজটা করে দেন বুমরাহ-অশ্বিনরা। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ থেমে গিয়েছিল ২৩৩ রানে। লড়াকু সেঞ্চুরি করেছিলেন মোমিনুল হক। তার পরই শুরু হয় ভারতের আসল ‘খেলা’। প্রথম তিন ওভারে রোহিত-যশস্বী তোলেন ৫০ রানের বেশি। চতুর্থ দিনে দলগত দ্রুততম ৫০, ১০০, ২০০ সবই ছিল ভারতের নামে। জয়সওয়াল করেন ৭২ রান। নিজস্ব ‘বাজবলে’ ৩৫ ওভারের মধ্যে ভারত করে ২৮৫ রান।

চতুর্থ দিনের শেষেই যখন বাংলাদেশ ব্যাট করতে নামে, তখন তারা পিছিয়ে ছিল ৫২ রানে। সেটাকে টপকালেন তারা। কিন্তু বেশি দূর যেতে পারলেন না। বাংলাদেশের ইনিংস থামল ১৪৬ রানে। মাত্র ৯৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছিলেন শাদমানরা। রোহিত-যশস্বীরা যে তাণ্ডব দেখিয়েছেন, তাতে ভারতের জয় পেতে বেশি সময় লাগার কথা ছিল না। সকালে বরং সেটা আটকানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন শাদমান ইসলাম। হাফসেঞ্চুরিও করেন তিনি। কিন্তু অধিনায়ক শান্তর সামান্য প্রতিরোধ ছাড়াও কাউকেই পাশে পেলেন না তিনি। শূন্য রানে ফিরে গেলেন শাকিব আল হাসান। সম্ভবত এটাই তাঁর জীবনের শেষ টেস্ট। আর সেটার পরিসমাপ্তি খুব একটা ভালো হল না। শেষের দিকে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম কিছুটা চেষ্টা করেন। তাতেও অবশ্য শেষরক্ষা হল না। ব্যক্তিগত ৩৭ রানের মাথায় বুমরাহর বলে বোল্ড হয়ে গেলেন মুশফিকুর। অশ্বিন পেলেন ৩ উইকেট, জাদেজার সংগ্রহ ৩। বুমরাহও তুলে নিলেন ৩ উইকেট। বাংলাদেশের লক্ষ্য অনায়াসেই সেটা পার করলেন বিরাটরা। ভারত জিতল ৭ উইকেটে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen