Thailand and Cambodia clash: সংঘর্ষে মৃত্যু বেড়ে ১৫, উদ্বাস্তু লক্ষাধিক মানুষ
থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সংঘাতে উত্তপ্ত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। সংঘর্ষের আঁচে পুড়ছে থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি ১০.০০: থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সংঘাতে উত্তপ্ত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। সংঘর্ষের আঁচে পুড়ছে থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া। যা পরিস্থিতি তাতে পুরোদস্তুর যুদ্ধ যে একরকম বেঁধেই গিয়েছে তা বলতেই হবে। এবার সেই একই কথা শোনা গেল থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাইয়ের মুখেও। তিনি বললেন, ”পুরোদস্তুর যুদ্ধ শুরু হতেই পারে।” পাশাপাশি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই থাইল্যান্ড সীমান্তে বসবাসকারী ১ লক্ষ ৩০ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন।
শুক্রবার দ্বিতীয় দিনেও পুরোদমে চলছে সংঘর্ষ। বাড়ছে নিহত ও আহতের সংখ্যা। জানা যাচ্ছে, শুক্রবার রাত পর্যন্ত ১৪ জন থাই নাগরিক ও কম্বোডিয়ার একজন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। ইতিমধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে দু’দেশের সীমান্ত থেকে অন্তত ১ লক্ষ ৩০ হাজার মানুষ ঘর ছেড়েছেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় শুক্রবার নিউ ইয়র্কে তড়িঘড়ি বৈঠকে বসেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদ। উদ্বিগ্ন বর্তমান আশিয়ান প্রধান মালয়েশিয়া। উভয় দেশকেই যুদ্ধবন্দিদের মুক্তি দিয়ে মধ্যস্থতার পথে হাঁটার পরামর্শ দিয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে ভারতও। থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সীমান্ত সংলগ্ন সাতটি প্রদেশে ভারতীয় পর্যটকদের না যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে ট্রাভেল অ্যাডভাইজারি জারি করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, শুক্রবারও একাধিক এলাকায় মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। সীমান্তবর্তী চং-বক, ফু মাখেউয়া, ফ্যানম ডন র্যাতক এলাকায় সকাল থেকেই গোলাগুলির শব্দ শোনা গিয়েছে। সংঘর্ষ হয়েছে তা-মুয়েন-থম মন্দির সংলগ্ন এলাকাতেও। থাইল্যান্ডের অভিযোগ, সাধারণ মানুষকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে কম্বোডিয়া সরকার। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কম্বোডিয়া সংলগ্ন আট জেলায় মার্শাল আইন জারি করেছে থাই সরকার। থাইল্যান্ডের সুরিন প্রদেশের একটি জিমে আশ্রয় নিয়েছে অন্তত ৬০০ মানুষ।