কেদারনাথ পুনর্গঠনের নামে টাকার অপচয় করছে বিজেপি সরকার, অভিযোগ তীর্থ পুরোহিতের
কী কী ক্ষেত্রে নষ্ট হয়েছে বরাদ্দকৃত অর্থ? বৃহস্পতিবার সামনে আসা একটি ভিডিওয় তারও খতিয়ান দিয়েছেন ব্রিজবল্লভ।

৪০০ কোটির বেশি টাকার কেদারপুরী পুনর্গঠন প্রকল্প। চলছে পুরনো সব কিছু গুঁড়িয়ে দিয়ে নতুন পরিকাঠামো গড়ে তোলার কাজ। গোটা কর্মকাণ্ডের উপর সরাসরি নজরদারি চালাচ্ছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু বাস্তবে যা হচ্ছে, তা বরাদ্দ অর্থের অপচয় ছাড়া কিচ্ছু নয়। এমনই অভিযোগ ৩১ বছর ধরে কেদারনাথ মন্দিরের সেবায় নিয়োজিত ‘তীর্থ পুরোহিত’ ব্রিজবল্লভ বাগওয়াড়িj। তাঁর দাবি, উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন কংগ্রেস সরকারের আমলে গড়ে তোলা একাধিক পরিকাঠামো কোনও কারণ ছাড়াই ধ্বংস করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত যত টাকার অপব্যবহার হয়েছে, তা দিয়ে অনায়াসে আরেকটা কেদারনাথ মন্দির গড়ে তোলা যেত। আর এর জন্য দায়ী রাজ্যের বর্তমান বিজেপি সরকার। আগামী ৫ নভেম্বর কেদারনাথ সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে আদি গুরু শঙ্করাচার্যের একটি মূর্তি এবং পুনর্গঠন প্রকল্পের সূচনা ও শিলান্যাস করবেন তিনি। তার আগে কেদারনাথের এক পুরোহিতের এই গুরুতর অভিযোগে ব্যাপক হইচই শুরু হয়েছে দেশজুড়ে।
কী কী ক্ষেত্রে নষ্ট হয়েছে বরাদ্দকৃত অর্থ? বৃহস্পতিবার সামনে আসা একটি ভিডিওয় তারও খতিয়ান দিয়েছেন ব্রিজবল্লভ। বলেছেন, কেদারনাথে হেলিপ্যাড সম্প্রসারণের জন্য নেহরু ইনস্টিটিউট অব মাউন্টেইনিয়ারিংয়ের টাকায় গড়ে তোলা রেস্ট হাউস ধ্বংস করা হয়েছে। ২০-২১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত একটি নদীঘাটও আর নেই। ঘাটের সিঁড়িগুলি যথেষ্ট চওড়া নয়, এই অজুহাতেই সেটিকে ভেঙে ফেলা হয়েছে। আবার আস্থাপথের দু’ধারে লাগানো সৌর আলোগুলিও আর নেই। সেখানে অন্য কিছু বসানো হবে। তীর্থ পুরোহিতের আরও অভিযোগ, ‘সরকারের কোনও পরিকল্পনা নেই। সব উন্নয়নমূলক কাজ এখনও অসমাপ্ত। কেন্দ্র তহবিল পাঠালেও রাজ্যের নীতিনির্ধারকরা কোথায় তা খরচ হবে জানেন না। তাদের কাছে কেদারনাথ এখন দুধেল গাই।’
বিষয়টি রাজনৈকি জল্পনা শুরু হয়েছে। তার প্রধান কারণ অবশ্যই কেদারনাথে তোলা ওই ভিডিওয় রাজ্যের প্রাক্তন কংগ্রেস সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হরিশ রাওয়াতের উপস্থিতি। যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বর্তমান শাসক দল বিজেপি। সাফ জানানো হয়েছে, কেদারনাথের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কী কী করেছেন, তা গোটা বিশ্ব জানে। ব্রিজবল্লভ অবশ্য নিজের দাবিতে অনড়। তাঁর কথায়, ‘আমি ব্যক্তিগত খারাপ লাগার কথা জানিয়েছি। এর সঙ্গে কংগ্রেস বা বিজেপির কোনও সম্পর্ক নেই।’এই মুহূর্তে