স্কুলে বাধ্যতামূলক রাজ্যসঙ্গীত ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’, নির্দেশিকা জারি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২০:৪৬: পশ্চিমবঙ্গের সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলগুলিতে এখন থেকে সকালের প্রার্থনাসভায় গাওয়া হবে রাজ্যসঙ্গীত (State Song) ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’। বৃহস্পতিবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। পর্ষদের সেক্রেটারি সুব্রত ঘোষ জানিয়েছেন, “এ বার থেকে স্কুলগুলিতে প্রার্থনাসভায় এই গান বাধ্যতামূলক।”
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Thakur) রচিত এই গানটি ২০২৩ সালে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যসঙ্গীত হিসাবে স্বীকৃতি পায়। বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ হওয়ার পর থেকেই গানটির নির্দিষ্ট অংশ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জনসভায় গানটির একটি অংশ পরিবর্তন করে ‘বাঙালির’ শব্দের বদলে ‘বাংলার’ ব্যবহার করেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাজ্যের মুখ্যসচিবের নির্দেশিকায় জানানো হয়, রাজ্যসঙ্গীতের নির্দিষ্ট অংশটি গাওয়া হবে, যার দৈর্ঘ্য এক মিনিটের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।
নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সকালের প্রার্থনায় ছাত্রছাত্রীদের গাইতে হবে- “বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল/পুণ্য হউক, পুণ্য হউক, পুণ্য হউক হে ভগবান।/বাঙালির প্রাণ, বাঙালির মন, বাঙালির ঘরে যত ভাই বোন/এক হউক, এক হউক, এক হউক হে ভগবান।”
মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমত্যানুসারে, এখন থেকে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি সরকার ও সরকার পোষিত বিদ্যালয়ে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৯০৫ সালে রচিত বিখ্যাত “বাংলার মাটি বাংলার জল” গানটি বিদ্যালয়ের প্রারম্ভে প্রার্থনা সঙ্গীত হিসেবে গাওয়ার জন্য অনুমোদিত হল। কবি… pic.twitter.com/OjWD68ddjD
— Bratya Basu (@basu_bratya) November 6, 2025
উল্লেখ্য, ভারতের বহু রাজ্যেই নিজস্ব রাজ্যসঙ্গীত রয়েছে। ওড়িশায় ‘বন্দে উৎকল জননী’ ১৯৩৬ সালে, অন্ধ্রপ্রদেশে ‘মা তেলুগু থালিকি’ ১৯৫৬ সালে রাজ্যসঙ্গীত হিসাবে গৃহীত হয়। অসম, গুজরাত, বিহার, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, ছত্তীসগঢ়, তেলঙ্গানার মতো রাজ্যেও রয়েছে নিজস্ব সঙ্গীত। পশ্চিমবঙ্গ এতদিন এই তালিকায় ছিল না। ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ সেই শূন্যস্থান পূরণ করেছে।