ভোটার তথ্য যাচাইয়ে বাড়ি বাড়ি BLO-দের যাওয়ার নির্দেশ, অবশেষে হুঁশ ফিরল কমিশনের!

December 29, 2025 | 2 min read

Authored By:

Saikat Saikat

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২১:১৫: ভোটার তালিকায় নাম বা তথ্যের গরমিল নিয়ে নাগরিকদের উদ্বেগ কমাতে বড়সড় স্বস্তি দিল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। বিশেষ করে ২০০২ সালের ভোটার তালিকার (Voter list 2002) সঙ্গে বর্তমান তথ্যের প্রযুক্তিগত অমিল বা ‘আনম্যাপড’ (Unmapped) স্ট্যাটাস নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হয়েছিল, তা সমাধানে বিশেষ নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (CEO) এর দপ্তর। এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি প্রবীণ নাগরিকদের (Senior citizen) হয়রানি কমাতে কমিশনের কাছে আরও মানবিক হওয়ার আবেদন জানালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।

সোমবার একটি টুইট (বর্তমানে এক্স হ্যান্ডেল) বার্তায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) জানান, তৃণমূল কংগ্রেস সর্বদা গঠনমূলকভাবে সাধারণ মানুষের সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট। এদিন তৃণমূলের (TMC) একটি প্রতিনিধি দল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (CEO) সঙ্গে দেখা করে ভোটারদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। অভিষেকের কথায়, “আমাদের প্রতিনিধি দল আজ সিইও, পশ্চিমবঙ্গের কাছে এই বিষয়টি উত্থাপন করেছিল এবং আমরা আনন্দিত যে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”

কী সমস্যা ও কমিশনের নির্দেশিকা:

কমিশনের নজরে এসেছিল যে, ২০০২ সালের ভোটার তালিকার পিডিএফ (PDF) ফাইল থেকে ডেটা কনভার্ট করার সময় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিএলও (BLO) অ্যাপে অনেক ভোটারের তথ্য ‘লিঙ্ক’ করা যাচ্ছিল না। ফলে তাঁদের নাম ‘আনম্যাপড’ দেখাচ্ছিল।

এদিনের নির্দেশিকায় অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক স্পষ্ট জানিয়েছেন:
১. এই ধরনের ভোটারদের শুনানির জন্য ডাকার প্রয়োজন নেই। যদি নোটিশ ইস্যু হয়েও থাকে, তবে বিএলও ফোন করে জানিয়ে দেবেন যে তাঁদের যাওয়ার দরকার নেই।
২. ২০০২ সালের হার্ড কপি বা মূল তালিকায় নাম থাকলে, সেটিই যাচাইয়ের জন্য গণ্য হবে।
৩. বিএলও-রা সরেজমিনে ওই ভোটারের বাড়িতে গিয়ে ছবি তুলে এবং প্রয়োজনীয় নথি আপলোড করে বিষয়টি নিষ্পত্তি করবেন।

অভিষেকের মানবিক আরজি:

কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রবীণ নাগরিকদের সুবিধার্থে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি জানিয়েছেন। বর্তমানে ৮৫ বছর বা তার বেশি বয়সী এবং অসুস্থদের শুনানির জন্য হাজিরা দেওয়া থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অভিষেকের আবেদন, “আমরা ভারতের নির্বাচন কমিশনের কাছে সম্মানপূর্বক অনুরোধ করছি, প্রবীণ নাগরিক, বিশেষ করে যাঁদের বয়স ৬০ বছরের বেশি এবং যাঁরা বিভিন্ন শারীরিক অসুস্থতায় (Comorbidities) ভুগছেন, তাঁদের বিষয়টি মানবিকতার খাতিরে বিবেচনা করা হোক।”

তিনি আরও বলেন, অসুস্থতার মধ্যে শুনানির জন্য ডাকা হলে প্রবীণদের অযথা হয়রানির শিকার হতে হয়। তাই মানবিকতাকে অগ্রাধিকার দিয়ে ৬০-ঊর্ধ্ব অসুস্থ নাগরিকদেরও এই ছাড়ের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

কমিশনের নির্দেশিকায় ইতিমধ্যই উল্লেখ করা হয়েছে, ৮৫ বছরের ঊর্ধ্বে এবং বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিরা অনুরোধ জানালে তাঁদের বাড়িতে গিয়েই ভেরিফিকেশন বা যাচাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন আধিকারিকরা। এখন দেখার, অভিষেকের দাবি মেনে ৬০ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রেও কমিশন একইরুপ নমনীয়তা প্রদর্শন করে কি না।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen