রাজনৈতিক অনুদানে কর ছাড়ের জেরে বিপুল ক্ষতির মুখে দেশের কোষাগার?
নির্বাচনী বন্ড হোক বা ট্রাস্ট অনুদানে টাকায় রাজনৈতিক দলের ভাঁড়ার ফুলেফেঁপে উঠেছে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: নির্বাচনী বন্ড হোক বা ট্রাস্ট অনুদানে টাকায় রাজনৈতিক দলের ভাঁড়ার ফুলেফেঁপে উঠেছে। পরিসংখ্যান বলছে, নির্বাচনী বন্ডের টাকায় সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে বিজেপি! অনুদানে করছাড়ের জন্য মোদী আমলে দেশের কোষাগারে রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার।
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য! কর্পোরেট ছাড়াও বিভিন্ন সংস্থা, সংগঠন, এমনকি কোনও ব্যক্তিও রাজনৈতিক দলগুলিকে অনুদানে করছাড়ের সুবিধা পায়। ২০১৫ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত সময়পর্বে করছাড়ের জেরে বিপুল অঙ্কের রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে কেন্দ্রের। রাজনৈতিক অনুদানের ক্ষেত্রে কর্পোরেটদের পিছনে ফেলে দিয়েছে ব্যক্তিগত ও হিন্দু অবিভক্ত পরিবারগুলির অনুদান। আয়করের ভাষায় হিন্দু অবিভক্ত পরিবারকে বলা হয় ‘এইচইউএফ’। কোন মন্ত্রে তাদের অনুদান এত বেড়ে গেল? সে প্রশ্ন উঠছে। দেখা গিয়েছে, একটা বড় অংশের কর্পোরেট সংস্থা অনুদান দিয়ে করছাড়ের সুবিধা নেয়নি। করছাড় না নিয়েই কেন জলের মতো টাকা ব্যয় করছে কর্পোরেট মহল?
পরিচয় গোপন রেখে নির্বাচনী বন্ডে অনুদান দেওয়ার ব্যবস্থা বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বিজেপির চালু করা এই বিষয় নিয়েও বিতর্ক দানা বেধেছে। গবেষক বেঙ্গটেশের গবেষণা এবং অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মস (এডিআর)-র অডিট রিপোর্ট খতিয়ে দেখা হয়েছে। দেখা গিয়েছে, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ব্যক্তিগত ও অবিভক্ত হিন্দু পরিবারগুলির অনুদানকারীদের করছাড়ের দাবি ছিল মাত্র ৬৬.১ কোটি টাকার। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে তা বেড়ে ২ হাজার ২৭৫ কোটি ৮৫ লক্ষে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। কর্পোরেট এবং অন্যান্য সংস্থা বা সংগঠনগুলি বহু পিছিয়ে। কর্পোরেট ক্লেম ১ হাজার ১৬৯ কোটি ৯১ টাকার শিখর ছুঁয়েছিল লোকসভা ভোটের বছরে, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে।
সমীক্ষা বলছে, ৯ বছরে মোট ২৮ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা অনুদানের মধ্যে মাত্র ৪১.৭৬ শতাংশ ক্ষেত্রে করছাড়ের দাবি করা হয়েছে। বাকি ৫৮ শতাংশ ক্ষেত্রে তা করা হয়নি। অধিকাংশ অনুদান দাতা বিশেষ করে কর্পোরেটরা করছাড়ের সুবিধার দাবিই করেনি কেন? প্রশ্ন উঠছে।