আশঙ্কাই সত্যি হল, শুধুমাত্র বনগাঁ মহকুমায় SIR-র ম্যাপিংয়ে বাদ যাওয়া ৯০ শতাংশই মতুয়া

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৬.৪৫: মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে খসড়া ভোটার তালিকা, তাতে দেখা গেল আশঙ্কাই সত্যি হল। SIR-র জেরে ভোটাধিকার খোয়াতে বসেছেন লক্ষ লক্ষ মতুয়া। SIR প্রক্রিয়ার শুরু থেকে বঙ্গ বিজেপি নেতারা দাবি করে আসছেন, সব মতুয়াদের নাম উঠবে। বাস্তব চিত্র একেবারে আলাদা। কেবল বনগাঁ মহকুমাতেই ১ লক্ষ ৩৪ হাজার মানুষ নো ম্যাপিং তালিকায় রয়েছেন। খোদ গাইঘাটার বিজেপি বিধায়ক সুব্রত ঠাকুরের দাবি, এঁদের মধ্যে ৯০ শতাংশ মতুয়া। আতঙ্কে দিন কাটাছেন মতুয়ারা। এতেই বিজেপিকে বিশ্বাসঘাতক বলছে মতুয়ারা। ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে দিল্লিতে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “কোনও হিন্দুর নাম বাদ যাবে না। যাঁরা সব খুইয়ে এখানে এসেছেন, এই মাটিতে তাঁদের অধিকার আমাদের মতোই।” কিন্তু কথায় কি চিঁড়ে ভিজবে? বার বার বিজেপিকে ভোট দিয়েও কি তাঁরা ঠকে গেলেন?
আদতে SIR-র বলি হলেন মতুয়ারা। বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা ছিল, SIR-র পর বহু মতুয়ার নাম বাদ যাবে। অন্যদিকে, শুভেন্দুরা বলে গিয়েছেন, ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়ায় কোনও হিন্দুর নাম বাদ যাবে না। কিন্তু খসড়া তালিকা প্রকাশ্যে আসতেই দেখা গেল, মতুয়ারাই আন ম্যাপড। অর্থাৎ তাঁরা ২০০২ সালের তালিকায় বাবা-মা বা কোনও আত্মীয়ের নাম দেখা পারেননি। ফলে শুনানির খাড়া ঝুলছে তাঁদের মাথায়!
প্রসঙ্গত, নানান সময়ে বাংলাদেশ থেকে উদ্বাস্ত হয়ে হাজার হাজার মতুয়া ভারতে এসেছেন। ২০০২ সালের তালিকায় তাঁদের অধিকাংশের নাম নেই। বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু এর আগে মতুয়াদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, যাঁদের নাম বাদ যাবে; CAA আইনে তাঁদের নাগরিকত্ব দিয়ে দেবেন। শমীকও একই দাবি করছেন।
অন্যদিকে, অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি তথা গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর বলছেন, “নো ম্যাপিং ভোটারদের মধ্যে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ মানুষ উদ্বাস্তু শ্রেণির।” মতুয়াদের অভিযোগ, তাঁদের অনেকেই আবেদন করে এখনও নাগরিকত্ব পাননি। শুরু হচ্ছে শুনানি। আতঙ্কে দিন কাটছে তাঁদের। SIR-র জেরে তাঁরা কি আবারও ভিটে-মাটি-দেশ হারাবেন?