বাঙালির পাতে কাঁকড়া-চিংড়ির ভবিষ্যৎ অন্ধকারে, বলছে গবেষণা

দূষণ নিয়ে গোটা বিশ্বই চিন্তিত। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গবেষণা হচ্ছে

November 5, 2022 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi
ছবি সৌজন্যে: tripadvisor

দূষণ নিয়ে গোটা বিশ্বই চিন্তিত। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন গবেষণা হচ্ছে। এরকমই একটি গবেষণা ভোজন রসিক বাঙালির জন্য চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। কী বলা হয়েছে এই গবেষণাতে?

ছবি সৌজন্যে: Leonori/Shutterstock

প্রেসিডেন্সির জীববিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তথা মেরিন বায়োলজিস্ট সুমিত মণ্ডল এবং গবেষক শ্রীতমা বাগ যৌথভাবে এই গবেষণায় যে তথ্য উঠে এসেছে, তা হল- বাঙালির অতি প্রিয় কাঁকড়া-চিংড়ির ভবিষ্যৎ অন্ধকারে। দ্রুতই চ্যালেঞ্জর মুখে পড়তে বসেছে এর সংখ্যা। কারণ মাত্রাতিরিক্ত বায়ুদূষণ!

ছবি সৌজন্যে: Lilen Uy

সুমিতবাবু জানান, বায়ুদূষণে তৈরি হয় কার্বন ডাই-অক্সাইড। জলের সঙ্গে মিশে তা তৈরি করে কার্বনিক অ্যাসিড। অ্যাসিড বৃষ্টি হিসেবে তা নেমে এসেই ক্ষতির মুখে ফেলছে খোলসযুক্ত এই প্রাণীগুলিকে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, জলের অম্নতা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে সেগুলির খোলস পাতলা হয়ে যাচ্ছে, তাই শুধু নয়, এগুলির বৃদ্ধিও হ্রাস পাচ্ছে। গবেষকদের মতে, এটা দু’ভাবে ক্ষতি করছে। খোলস এই প্রাণীগুলির আত্মরক্ষার প্রধান সহায়। সেটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে সমুদ্রের বড় মাছ সহজেই এগুলির খোলস ভেঙে খেয়ে ফেলতে পারবে। অন্যদিকে, উপকূল অঞ্চলের মাছচাষেও বড় প্রভাব ফেলছে এই অম্লতা। জলের অ্যাসিডিটি বেড়ে যাওয়ার কারণে গলদা, বাগদা বা কাঁকড়ার বৃদ্ধি থমকে যাচ্ছে। গবেষকরা বলছেন, এ ধরনের প্রাণীগুলির দাম এদের আকার-আয়তনের উপর নির্ভর করে। সমুদ্রের জলের উপর ভরসা করে যে ভেড়িগুলি চলে, সেগুলি প্রবল ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen