নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেই বিল পাশের সিদ্ধান্ত নিতে হবে রাজ্যপাল এবং রাষ্ট্রপতিকে, রায় পুনর্বহাল Supreme Court-র
উল্লেখ্য, ১২ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের দুই সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ রায় দেয়, আইনসভায় পাশ করা কোনও বিল রাজ্যপাল বা রাষ্ট্রপতি, অনির্দিষ্টকালের জন্য আটকে রাখতে পারেন না।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১২:১১: নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেই রাজ্যপাল এবং রাষ্ট্রপতিকে বিল পাশ করানো নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তামিলনাড়ুর সরকার বনাম রাজ্যপাল দ্বন্দ্বে পুরনো রায়ই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। শীর্ষ আদালতের মতে, তামিলনাড়ুতে বিল পাশ করানো নিয়ে ‘বিরূপ পরিস্থিতি’ তৈরি হয়েছে। যার জেরে সংবিধানের মর্যাদা রক্ষা করতে শীর্ষ আদালত বাধ্য হয়ে হস্তক্ষেপ করেছে। শীর্ষ আদালতের প্রেসিডেন্সিয়াল রেফারেন্স বেঞ্চের কেবল মতামত দেওয়া ক্ষমতা রয়েছে। তাদের রায় খারিজ করার ক্ষমতা নেই। বিচারবিভাগ ও প্রশাসনের দ্বন্দ্বে কার্যত ফের ধাক্কা খেল মোদী সরকার।
উল্লেখ্য, ১২ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের দুই সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ রায় দেয়, আইনসভায় পাশ করা কোনও বিল রাজ্যপাল বা রাষ্ট্রপতি, অনির্দিষ্টকালের জন্য আটকে রাখতে পারেন না। প্রশ্ন উঠছিল, সুপ্রিম কোর্ট কি রাজ্যপাল বা রাষ্ট্রপতিকে এভাবে ‘নির্দেশ’ দিতে পারে? সুপ্রিম কোর্ট বলে, সংবিধানের ১৪২ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, শীর্ষ আদালত ‘সুবিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে’ আইনের ঊর্ধ্বে গিয়ে রায় দিতেই পারে।
শীর্ষ আদালতের সেই রায়ে আপত্তি জানান খোদ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi Murmu)। সংবিধানের ১৪৩ ধারা প্রদত্ত বিশেষ অধিকার বলে শীর্ষ আদালতের রায়ের প্রেক্ষিতে ১৪টি প্রশ্ন তুলে দেন তিনি। রায় পর্যালোচনার জন্য পাঁচ সদস্যের প্রেসিডেন্সিয়াল রেফারেন্স বেঞ্চ তৈরি হয়। CJI বিআর গাভাইয়ের নেতৃত্বের পাঁচ সদস্যের ওই বেঞ্চে কেন্দ্র জানিয়েছিল, রাজ্যপাল এবং রাষ্ট্রপতির দপ্তর রাজনৈতিকভাবে স্বয়ংসম্পন্ন। রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপালের দপ্তরে যদি কোনও ত্রুটি থেকেও থাকে তাহলে সেটা ঠিক করতে হবে রাজনৈতিকভাবে। বিচারবিভাগের হস্তক্ষেপে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হবে। মামলাকারীদের তরফে তামিলনাড়ু সরকার এবং কেরল সরকার দাবি করে, রাষ্ট্রপতির তোলা প্রশ্নের ভিত্তিতে যদি সুপ্রিম কোর্ট রায় বদলায়, তাহলে বিচারবিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে!
উভয় পক্ষের সওয়াল শোনার পর শীর্ষ আদালত জানায়, প্রেসিডেন্সিয়াল রেফারেন্স বেঞ্চ শুধু ‘উপদেষ্টা’র ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে। ১২ এপ্রিলের রায় বদলানো তাঁদের কাজ নয়। ওই রায় বদলাচ্ছে না। ফলে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেই তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল এবং রাষ্ট্রপতিকে বিলে অনুমোদন দেওয়া বা ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিতে হবে।