এভারেস্টের উচ্চতা বাড়ল ৮৬ সেন্টিমিটার

দুই দেশ নিজেদের মতো করে পৃথকভাবে সমীক্ষা চালালেও, এদিন ভার্চুয়াল মাধ্যমে একত্রিতভাবে নিজেদের তথ্য প্রকাশ করেন নেপালের বিদেশমন্ত্রী প্রদীপ গাওয়ালি এবং চীনের তরফে ওয়াই ওয়াই।

December 9, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

০.৮৬ মিটার উচ্চতা বৃদ্ধি পেল পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেস্টের (Mount Everest)। অর্থাৎ, এভারেস্টের নতুন উচ্চতা হল ৮৮৪৮.৮৬ মিটার। মঙ্গলবার নেপাল এবং চীন সরকারের পক্ষ থেকে যৌথভাবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই উচ্চতা বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১৭ সালে এই পরিমাপের কাজ শুরু হয়েছিল। দুই দেশ নিজেদের মতো করে পৃথকভাবে সমীক্ষা চালালেও, এদিন ভার্চুয়াল মাধ্যমে একত্রিতভাবে নিজেদের তথ্য প্রকাশ করেন নেপালের বিদেশমন্ত্রী প্রদীপ গাওয়ালি এবং চীনের তরফে ওয়াই ওয়াই।

২০১৫ সালে নেপালে বিধ্বংসী ভূমিকম্পের পর এভারেস্টের উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে, নাকি কমে গিয়েছে— তা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের বিভিন্ন মতামত প্রকাশিত হয়েছিল। এরপর নেপাল এবং চীন সরকারের পক্ষ থেকে এভারেস্ট পরিমাপ করার কাজ নতুন করে শুরু হয়। তাতে দেখা যায়, ১৯৫৪ সালে ভারতের করা সমীক্ষার তুলনায় ৮৬ সেন্টিমিটার বেড়ে গিয়েছে এভারেস্টের উচ্চতা।

ঊনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে এভারেস্টের উচ্চতা পরিমাপের কাজ শুরু হয়। প্রথম সেই কাজ করেছিলেন বাঙালি বিজ্ঞানী রাধানাথ শিকদার। এরপরে ১৯৫৪ সালে সার্ভে অব ইন্ডিয়া জানিয়েছিল এভারেস্টের উচ্চতা ৮৮৪৮ মিটার। যা প্রথম গণনার তুলনায় সামান্য বেশি ছিল। তারপর থেকে একাধিক দেশ এনিয়ে গবেষণা বা সমীক্ষা চালালেও, গোটা বিশ্ব সরকারিভাবে ভারতের দেওয়া তথ্যকেই মেনে নিয়েছিল। প্রায় ৬৬ বছর পর তা অবশেষে সামান্য হলেও পরিবর্তিত হল। সার্ভে অব ইন্ডিয়া এই কাজে যুক্ত না থাকলেও, বাঙালি বিজ্ঞানী পরমেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল নেপালের সমীক্ষার কাজে।

চীন সরকারিভাবে এতদিন মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতাকে ৮৮৪৪.৪৩ মিটার বলে স্বীকৃতি দিয়েছিল। ২০০৫ সালে যা ৮৮৫০ মিটার বলে দাবি করা হয়েছিল। তবে সরকারিভাবে তা কোনওদিনই স্বীকৃতি পায়নি। অবশেষে এবার সমীক্ষার কাজ শুরু করেছিল চীনও। এদিন তাদের পক্ষ থেকেও নয়া উচ্চতাকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, প্রতিবেশী দু’দেশের মধ্যে মাউন্ট এভারেস্টের সঠিক উচ্চতা নিয়ে মতপার্থক্য ছিল বহু বছর ধরে। নতুন এই উচ্চতা সেই মতপার্থক্যকে দূর করেছে। মাউন্ট এভারেস্ট নিয়ে এই সমীক্ষা প্রসঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্ট জিনপিং বলেছেন, এই উদ্যোগ চীন এবং নেপালের ঐতিহ্যমণ্ডিত বন্ধুত্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক। অন্যদিকে, এই দিনটিকে ঐতিহাসিক হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন নেপালের বিদেশমন্ত্রী প্রদীপ গাওয়ালি। তিনি বলেন, এই দিনটির জন্য আমরা সকলেই অপেক্ষায় ছিলাম।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen