চার স্ত্রী নিয়ে ‘রঙিন জীবন’ ছিল খুন হওয়া কলকাতার পুরকর্মীর

কলকাতা পুরসভার কর্মী খুনে উঠে আসছে একের পর এক নতুন তথ্য। তবে ঠিক কোন কারণে খুন হতে হল ব্যান্ডেলের লালবাবু গোয়ালাকে, তা নিয়ে ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরেও পুলিশের ধন্ধ কাটেনি।

July 6, 2024 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কলকাতা পুরসভার কর্মী খুনে উঠে আসছে একের পর এক নতুন তথ্য। তবে ঠিক কোন কারণে খুন হতে হল ব্যান্ডেলের লালবাবু গোয়ালাকে, তা নিয়ে ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরেও পুলিশের ধন্ধ কাটেনি। ইতিমধ্যেই মৃতের ভাইপোকে আটক করে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। ওই যুবকের বিরুদ্ধে মৃতের ছেলে সাহেব গোয়ালা চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। বৃহস্পতিবার বম্ব স্কোয়াড দিয়ে ঘটনাস্থলের খানাতল্লাশির পাশাপাশি দফায় দফায় পুলিশ সরেজমিন তদন্ত করেছে।

লালবাবুর জীবন অবশ্য ছিল বর্ণময়। জীবনের প্রথম পর্বে সমাজবিরোধী কাজের সঙ্গে তাঁর প্রত্যক্ষ যোগ ছিল। তাঁর বিরুদ্ধে শেষতম অভিযোগটি পাঁচ বছর আগে দায়ের হয়। একসময় কারাবাসও করেছেন লালবাবু। পুলিসের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যান্ডেলের লেডি গ্যাংস্টার শকুন্তলা যাদবের সঙ্গে সরাসরি যোগ ছিল লালবাবুর। ব্যান্ডেলের আরেক গ্যাংস্টার হিড্ডার দলেরও ঘনিষ্ঠ ছিলেন মৃত ব্যক্তি। দুই গ্যাংস্টারই বর্তমানে এলাকা ছাড়া। দু’জনেরই বিরুদ্ধে জমি কারবার সঙ্গে তোলাবাজি, খুন ইত্যদি অভিযোগ আছে। শকুন্তলা ও তার ছেলে ব্যান্ডেলে তৃণমূল প্রধান খুনে অভিযুক্ত। জমির কারবার করতেন লালবাবুও। পরিবার ও পুলিস সূত্রে লালবাবুর চারজন স্ত্রী’র হদিশ মিলেছে। তবে কেউই বর্তমানে তাঁর নিউ কাজিডাঙার বাড়িতে থাকতেন না। পাশাপাশি অন্য নারীদের সঙ্গও উপভোগ করতেন তিনি।

পুলিস সূত্রে খবর, লালবাবুর পিঠে ওয়ান শটার ঠেকিয়ে গুলি করা হয়। দুষ্কৃতীরা ভাড়াটে খুনি বলে জানা গিয়েছে। এদিকে, বহু বছর পরে খুনোখুনির জেরে ব্যান্ডেলে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ঘটনাস্থল কুলিপাড়া থেকে মৃতের বাড়ি নিউ কাজিডাঙা এলাকা তো ব঩টেই, ব্যান্ডেল সদরেও আতঙ্কের আবহ দেখা গিয়েছে। চন্দননগরের পুলিস কমিশনার অমিত পি জাভালাগি বৃহস্পতিবার বলেন, খুনের ঘটনার তদন্তে সমস্ত দৃষ্টিকোণ থেকে তদন্ত করা হচ্ছে। দ্রুত অপরাধীদের ধরে ফেলব।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen