বাজেট অধিবেশনের মাত্র ১৫ দিন আগে ঘোষিত হল দিনক্ষণ! কেন তৈরি হচ্ছে না সংসদীয় ক্যালেন্ডার? প্রশ্ন তৃণমূলের

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আগামী পয়লা ফেব্রুয়ারি সংসদের কেন্দ্রীয় অর্থ বাজেট পেশ হবে। ৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে বাজেট অধিবেশনের প্রথম পর্ব। কেন্দ্রের তরফে তা জানানো হয়েছে ১৭ জানুয়ারি। মাত্র পনেরো দিন আগে বাজেটের মতো গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশনের কথা জানানো হচ্ছে। এত অল্প সময়ে কীভাবে প্রস্তুত হবেন সাংসদেরা? প্রশ্ন তুলল তৃণমূল।
উল্লেখ্য, নতুন লোকসভা তৈরির পর ইতিমধ্যে জোড়া অধিবেশন বসেছে। দুটি অধিবেশনের আগে ৪৭ দিন সময় দেওয়া হয়েছিল। (অধিবেশনের দিন ঘোষণা থেকে অধিবেশন শুরুর মধ্যবর্তী সময়ের ব্যবধান।) এবার মাত্র পনেরো দিন আগে জানানো হচ্ছে। তৃণমূলের অভিযোগ, সংসদকে গুরুত্ব দিচ্ছে না বিজেপি। অধিবেশনের আগে সাংসদদের প্রস্তুতির জন্য পর্যাপ্ত সময় দেওয়া হচ্ছে না। প্রসঙ্গত, উঠে আসছে সংসদীয় ক্যালেন্ডার তৈরির দাবি। ২০১৯ সালে সংসদ বিষয়ক ক্যালেন্ডার নিয়ে প্রাইভেট মেম্বার বিল আনা হয়েছিল সংসদে। তৃণমূলের কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা তথা সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনের মতে, “লোকসভা এবং রাজ্যসভার সদস্যরা শুধুমাত্র আইন প্রণয়নের জন্য নির্বাচিত হননি, সরকারের কাছে জবাবদিহি চাইতে, সরকারের নীতি, পদক্ষেপের পর্যালোচনার জন্য এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা ও বিতর্ক করার জন্যও তাঁরা নির্বাচিত হন। এহেন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বগুলো যথাযথভাবে পালন করার জন্য সংসদীয় ক্যালেন্ডারের প্রয়োজন।”
ডেরেক আরও বলেন, “অধিবেশনের দিন জানিয়ে বিজ্ঞপ্তি ও অধিবেশন শুরু হওয়ার মধ্যে ক্রমহ্রাসমান সময় অস্থিরতা ডেকে আনছে। যা সংসদকে ‘ডিপ, ডার্ক চেম্বার’-এ পরিণত করছে। যদি স্কুল, কলেজ আগে থেকে তাদের ক্যালেন্ডার তৈরি করতে পারে, তাহলে সংসদ কেন পারবে না?”
তৃণমূল সাংসদের আরও অভিযোগ, “মোদী আমলে প্রতি চারটে বিলের মধ্যে তিনটি বিল সংসদে পরামর্শের জন্য পেশ করাই হয় না। সাম্প্রতিক সময়ে যে বিলগুলোর প্রেক্ষিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল, তাদের অর্ধেকেরও বেশির ক্ষেত্রে (৫৪ শতাংশ) বাধ্যতামূলক ত্রিশ দিনের মেয়াদকাল মানা হয়নি।” অন্যদিকে, ইম্পিচমেন্টের বিষয়ও রয়েছে আসন্ন অধিবেশনে। রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিগত অধিবেশনে পদক্ষেপ করেছিলেন বিরোধী সাংসদেরা। গোটা পক্রিয়ার জন্যেও কমপক্ষে একশো দিন অধিবেশন চলার দরকার। অধিবেশনের দিন-তারিখ সম্পর্কে কার্যত বিরোধীদের অন্ধকারে রাখা হচ্ছে। একেবারে শেষ মুহূর্তে অধিবেশনের দিন জানানো হচ্ছে। অধিবেশনের দিনক্ষণ সম্পর্কে তথ্য না-থাকার কারণে, বিরোধী সাংসদদেরা নানা সংসদীয় কাজকর্ম করতে পারছেন না।