‘ট্যাব’ কেনার টাকার নয়ছয়ের ঘটনায় প্রধান শিক্ষকদের একাংশের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলছে

স্কুল পড়ুয়ার ‘ট্যাব’ কেনার টাকা চলে গিয়েছে অন্য অ্যাকাউন্টে।

November 12, 2024 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi
—প্রতীকী ছবি।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: স্কুল পড়ুয়ার ‘ট্যাব’ কেনার টাকা চলে গিয়েছে অন্য অ্যাকাউন্টে। তা নিয়ে সোমবার নবান্নে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। হাজির ছিলেন স্কুল শিক্ষা দপ্তরের প্রধান সচিব বিনোদ কুমার, রাজ্য পুলিসের ডিজি রাজীব কুমার। কয়েকজন জেলাশাসকও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন। সেখানে প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট পেশ করে স্কুল শিক্ষা দপ্তর ও রাজ্য পুলিস। তাতে ‘ট্যাব’ কেনার টাকার নয়ছয়ের ঘটনায় প্রধান শিক্ষকদের একাংশের জড়িত থাকার উল্লেখ রয়েছে।

নবান্ন সূত্রের খবর, প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে চলা সেই বৈঠকে স্কুল শিক্ষা দপ্তরকে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব— অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে হবে। দোষ প্রমাণ হলে নিতে হবে উপযুক্ত প্রশাসনিক পদক্ষেপ। পুলিসকেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এছাড়া আগামী দিনে যাতে এমন কোনও ঘটনা না ঘটে, তার জন্য ‘ফুল প্রুফ সিস্টেম’ তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব। প্রধান শিক্ষকদের একটি সংগঠন অবশ্য এব্যাপারে ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়েছে স্কুল শিক্ষা সচিবকে। সেখানে রাজ্য, জেলা এবং এসআই অফিস পর্যায়ের অফিসেই অনিয়ম হওয়ার ইঙ্গিত করা হয়েছে।

অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেস এর দাবি, বিষয়টি সম্পর্কে জেলা পরিদর্শকদের আগেই অবহিত করা হয়েছিল। স্কুল শিক্ষা দপ্তরের দাবি, এখনও পর্যন্ত ছ’টি জেলায় ৩০৯ জন পড়ুয়ার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ‘ট্যাব’ কেনার টাকা ঢোকেনি। তবে এখনও অনেক জেলা থেকে পড়ুয়াদের এই ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের টাকা না আসার খবর আসছে প্রশাসনের কাছে।
তবে মুর্শিদাবাদের অনিয়মের খবর সবথেকে অভিনব। ওই জেলার মোট ৪ হাজার ৮৪১ জন শিক্ষার্থীর অ্যাকাউন্টে দু’বার ‘ট্যাব’ কেনার টাকা ঢুকেছে। ফলে বাড়তি খরচ হয়েছে ৪ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা। ওই অতিরিক্ত অর্থ ফেরত চেয়ে ১৭টি ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকে চিঠি পাঠিয়েছেন স্কুল পরিদর্শক অমর কুমার শীল।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen