আনাজপাতির দাম এখনই কমার কোনও সম্ভাবনা নেই, বরং দাম আরও বাড়তে পারে

বৈশাখ মাসের প্রথম দিকে যা একেবারেই স্বাভাবিক নয়। অথচ, গত ক’দিনে আলুর দাম যেন তাপমাত্রার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চড়েছে।

April 27, 2024 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi
প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সপ্তাহ দুয়েকের ব্যবধানে আলুর দাম কিলোগ্রাম প্রতি ৮ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু দামের এই ঊর্ধ্বগতি ছোঁয়াচে অসুখের মতো এক এক করে বাড়ছে। আদা, রসুন হয়ে অন্য আনাজের দামের ক্ষেত্রেও তা দেখা যাচ্ছে।

বৈশাখ মাসের প্রথম দিকে যা একেবারেই স্বাভাবিক নয়। অথচ, গত ক’দিনে আলুর দাম যেন তাপমাত্রার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চড়েছে। ২৫ টাকার চন্দ্রমুখী আলুর দাম বেড়ে প্রতি কিলোগ্রামে হয়েছে ৩৫ টাকা। জ্যোতি আলু ১৮ টাকা থেকে হয়েছে ২৫ টাকা। এই ধাক্কা সামলানোর আগেই দাম চড়তে শুরু করেছে আদা, রসুন-সহ প্রায় সব আনাজের। দিন চারেকের ব্যবধানে প্রতি একশো আদার দাম ১৫ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২৫ টাকা।

একই অবস্থা রসুনের দামেও। কিছু দিন আগে নজিরবিহীন ভাবে রসুনের দাম পৌঁছে ছিল ৫০০ টাকা কেজিতে। সেই ধাক্কার পর ভাল রসুনের দাম ২০০ টাকার নীচে নামেনি সাম্প্রতিক কালে। তুলনায় নিম্ন মানের রসুনের একশো গ্রাম বিক্রি হচ্ছিল ১৫ টাকা দরে। এক সপ্তাহের মধ্যে রসুনের দর ১৫-২০ টাকা থেকে চড়ে ২৫ টাকা, ক্ষেত্রবিশেষে ৩০ টাকা দরে প্রতি একশো গ্রাম বিক্রি হচ্ছে। তবে এখনও দামের হেরফের হয়নি পেঁয়াজের। স্থানীয় পেঁয়াজ ২০ টাকা কিলোগ্রাম দরে বিক্রি হচ্ছে। ভিন্‌ রাজ্যের পেঁয়াজের দাম অবশ্য কিছুটা বেশি।

যেভাবে জিনিসপত্রের আগুনে দর থাবা বসিয়েছে দেশজুড়ে, তাকে লাগাম দিতে পারেনি কেন্দ্রীয় সরকার। তাই সুদের হার বাড়িয়ে রেখে পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে চাইছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এদিকে মূল্যবৃদ্ধির (Market Price Hike) যেভাবে রমরমা চলছে, তার অন্যতম অংশীদার আনাজপাতি ও খাদ্যদ্রব্যের দাম। সেই চড়া বাজার দরে কি লাগাম দেওয়া যাবে? দেশের অন্যতম ক্রেডিট রেটিং সংস্থা ক্রিসিল দাবি করেছে, আগামী জুন পর্যন্ত সেই সম্ভাবনা অনেকটাই কম। তার কারণ প্রখর গ্রীষ্ম এবং শুষ্ক আবহাওয়া। যেভাবে প্রায় গোটা দেশেই তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই চড়ে রয়েছে, তা প্রভাব ফেলবে কৃষিকাজে ও অর্থনীতিতে। তাই দাম কমবে না।

ক্রিসিলের দাবি, জলবায়ু পরিবর্তন কৃষিকাজে ইতিমধ্যেই প্রভাব ফেলেছে। আনাজপাতি উৎপাদন কমেছে খামখেয়ালি আবহাওয়ার কারণে। এই সমস্যাগুলিতে রাশ টানতে আনাজপাতি ও অন্যান্য খাদ্যদ্রব্যের সংরক্ষণ বা আমদানির চেষ্টা ভারতের মতো বড় দেশের চাহিদা মেটাতে সেই উদ্যোগ যে আদৌ তেমন কর্যকর নয়, তা বুঝিয়েছে ক্রিসিল।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen